
ছবি : বাংলাদেশের খবর
মানিকগঞ্জে সাতটি বালুমহালের দরপত্র ওপেনিং ও মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সাতটি বালুমহালের দরপত্র মূল্যায়ন করা হয়।
বুধবার (০৭ মে) বিকেল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দরপত্র ওপেনিং ও মূল্যায়ন কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাতটি বালুমহালের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাধীন বেউথা-পৌলী বালুমহালের কোনো দরপত্র না হওয়ায় আপাতত স্থগিত করা হয়। ঘিওর উপজেলাধীন শ্রীধর নগর বালুমহালে সরকারি মূল্যের থেকে কম মূল্যে দাখিল হওয়ায় বাতিল বলে গণ্য হয়। সাতটি বালুমহালের মধ্যে পাঁচটি বালুমহালের ইজারা নির্ধারণ করা হয়।
স্থগিত বালুমহালগুলো দ্বিতীয় দফায় ৮ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, রাজস্ব শাখা মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং ঘিওর/মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে দরপত্র ফর্ম ক্রয় করা যাবে। উল্লিখিত কার্যালয়ে ১৪ তারিখে দরপত্র ফরম দাখিল করতে হবে এবং ১৫ তারিখে ওপেন করা হবে।
৫টি বালুমহালের ইজারা পেলেন যারা :
৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দৌলতপুর উপজেলাধীন রাহাতপুর বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন মেসার্স প্রিন্স কনস্ট্রাকশন। যার প্রোপাইটার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
২ কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৬০ টাকায় শিবালয় উপজেলাধীন তেওতা বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন মো. ইব্রাহিম মোল্লা, মেসার্স ইফতিয়ার এন্টারপ্রাইজ।
৭ কোটি ৫১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকায় ঘিওর উপজেলাধীন তরা বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের মো. কামাল হোসেন। একই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাধীন চামটা-পৌলী-বিল বরিয়াল বালুমহলটি ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ইজারা পান।
৫ কোটি ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকায় হরিরামপুর উপজেলাধীন লেছড়াগঞ্জ বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন মিথিলা এন্টারপ্রাইজের মো. আলমগীর হোসেন
বালুমহালের দরপত্রগুলো ঘোষণা দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মাদ আলী। ঘোষণা শেষে তিনি বালুমহালের শর্তসাপেক্ষ ও আইন মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেন।
আফ্রিদি আহাম্মেদ/এমবি