জুলাই আন্দোলনে আহতদের অনুদান বিতরণ নিয়ে তোলপাড়!

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৯:০৬

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্স | ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য সরকারি অনুদান বিতরণকে ঘিরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিতরণের তালিকা প্রকাশের পর অনেকে অভিযোগ করছেন, প্রকৃত আহতদের বাদ দিয়ে ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা।
৮ মে (বৃহস্পতিবার) মৌলভীবাজার জেলার ৯২ জন আহত শিক্ষার্থীকে ৯২ লাখ টাকা অনুদান দেন জেলা প্রশাসক। এর মধ্যে কুলাউড়া উপজেলার ২৮ জন পেয়েছেন ২৮ লাখ টাকা।
তবে, অনুদানপ্রাপ্তদের তালিকা এবং টাকা গ্রহণের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও অবস্থানরত কুলাউড়াবাসীরা বিষয়টি নিয়ে হতবাক প্রতিক্রিয়া জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেনকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণের দাবি উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রশিবির ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তিকে সনদ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সারা মৌলভীবাজার জেলায় আহতের সংখ্যা ৩০ কি না সন্দেহ আছে। কোন প্রক্রিয়ায় তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা জানা নেই। তবে ডাক্তারি সার্টিফিকেট কীভাবে দেওয়া হলো? হাসপাতালের রেজিস্টারে এদের নাম ২৫ জুলাই থেকে সংযুক্ত আছে কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।
আন্দোলনের আরেক দাবিদার হাবিবুর রহমান টিপু বলেন, আমার জানা মতে কুলাউড়ায় কেউ আহত হয়নি। ছাত্রশিবিরের কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ফার্মেসিতে বসে সার্টিফিকেট বানানো হয়েছে। এসব পুরোপুরি ভুয়া। এই অপকর্মে ডা. জাকির হোসেন যুক্ত। তিনি জামায়াতের সক্রিয় নেতা। তাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে ডা. জাকির হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সমালোচনা চলছে তা তিনি দেখেছেন। এটা স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ। ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা মইনুল ও আদনান তালিকা দিয়েছেন। আর সার্টিফিকেট দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। সুতরাং তারাই বিষয়টা ভালো বলতে পারেন।
- জিয়াউল হক জিয়া/এটিআর