Logo

সারাদেশ

রোদের তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১৬:৪৫

রোদের তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

চুয়াডাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে চলছে ভয়াবহ তাপদাহ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ।

এর আগে দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল যথাক্রমে ২৯ ও ২৩ শতাংশ, যা গরমের অনুভূতিকে আরও তীব্র করেছে।

চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ৭ মে থেকে জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন ৮ মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯.৭ ডিগ্রিতে, যা সেদিন দেশের সর্বোচ্চ। ৯ মে-তেও (শুক্রবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, শনিবার চুয়াডাঙ্গা অতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে, যা আরও কিছু দিন স্থায়ী হতে পারে। তবে ১৩ মে’র পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপপ্রবাহ প্রশমনে সহায়ক হতে পারে।

চলাচলে ভাটা, কর্মজীবীদের দুর্ভোগ
প্রচণ্ড রোদের কারণে সকাল থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করে সড়ক। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দোকানপাটও দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

রিকশাচালক আবদুল জলিল বলেন, ‘এই রোদে রিকশা চালানো যায় না। মাথা ঘোরায়, গরমে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু উপার্জন না করলে সংসার চলবে কীভাবে?’

দিনমজুর রুহুল আমিন বলেন, ‘সকাল ১০টার পর থেকে গরম এত বেড়ে যায় যে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। শরীর ঘেমে একাকার হয়ে যায়, মাথা ধরে আসে। তবুও কাজ না করলে পরিবার না খেয়ে থাকবে।’

চুয়াডাঙ্গা সদরের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মাঠে পানি নেই। ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত রোদের কারণে ধান কাটতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমন রোদ আগে কখনও দেখিনি।’

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শহরবাসী
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, মাথা ঘোরা ও ত্বকের সমস্যায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান এবং সরাসরি রোদে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

ফেরদৌস ওয়াহিদ/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর