
ঋতুরাজ বসন্তকেও যেন হার মানাচ্ছে চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আমাদের এই দেশ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। ঋতু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলার প্রকৃতিতে চলে রূপের পালাবদল। আমাদের দেশের একেকটি ঋতুর সৌন্দর্য একেক রকম। এখন গ্রীষ্মকাল চলছে।
গ্রীষ্মকালের কাঠফাটা রোদ আর মাঝে মধ্যে ঝুমবৃষ্টিতে প্রকৃতি যেন বর্ণিল রূপে সেজেছে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। ঋতুরাজ বসন্তকেও যেন হার মানাচ্ছে চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য।
কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। টকটকে লাল অথবা গাঢ় কমলা লাল ছোপে ভরা কৃষ্ণচূড়া সকলের মন রাঙিয়ে দেয়। আমাদের দেশে এখন কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি পরিচিত ফুল।
বর্তমানে ভোলার লালমোহনের পৌরশহরসহ গ্রামাঞ্চলে কৃষ্ণচূড়ার গাছে চোখধাঁধানো ফুল ফুটতে দেখা গেছে। এ যেন প্রকৃতি নতুন সাজে সেজেছে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। কৃষ্ণচূড়ার ফুলকে নিয়ে ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতায় কবি কৃষ্ণচূড়ার ফুল শহীদদের ঝলকিত রক্তের বুদবুদ এর প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পথের ধারে কৃষ্ণচূড়ার গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে আগুন রঙের কৃষ্ণচূড়ার ফুল দেখে লালমোহনের সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ পুলকিত।
কৃষ্ণচূড়া গাছ বিদেশি হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে এই গাছ ও ফুলকে মানুষ দেশী হিসেবে চিনে। আমাদের দেশে সাধারণত লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া বেশি দেখা যায়। তবে কোথাও কোথাও হলদে রঙের দেখা যায়।
তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কৃষ্ণচূড়া তিনটি রঙের হয়। লাল, সাদা ও হলুদ। সাদা কৃষ্ণচূড়া আমাদের দেশে সাধারণত খুব কমই দেখা গেছে।
লালমোহনে রেঞ্জ বন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস বলেন, বনজ বৃক্ষ হিসেবে কৃষ্ণচূড়াকে দেখা হয় না। এটাকে সোভাবর্ধন হিসেবে দেখা হয় এবং শোভাবর্ধন হিসেবে এই গাছকে রোপণ করা হয়। এখন কৃষ্ণচূড়া ফুলের মৌসুম চলছে। তাই লালমোহন উপজেলায় মানুষের বাড়ি ও বাগানে যে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো রয়েছেন সেগুলোতে বর্তমানে ফুল আসছে এবং ফুলের সৌন্দর্য মানুষ উপভোগ করছে।
সোয়েব মেজবাহ উদ্দিন/এমআই