রংপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ওসি অবরুদ্ধ

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৯:২২

ছবি : বাংলাদেশের খবর
রংপুরে সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর কাঠ মিস্ত্রির যন্ত্রপাতি বাটাল, ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ বালি চাপা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। রোববার (১১ মে) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, ওই এলাকার ফারহানা-আরিফুর ইসলাম দম্পতির একমাত্র আদরের সন্তান আরফিনাকে(৭) প্রতিবেশী ফজলু মিয়া ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ঘাড়ে জখম করে হত্যা করে বালি চাপা দিয়ে ঢেকে রাখে।
ঘটনার সাথে জড়িত ফজলু মিয়া(৪০)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত ফজলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে গাছপালা কেটে ফেলেন। এ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ এনে উত্তেজিত জনতা মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে ধাওয়া করলে তিনি আত্মরক্ষার্থে এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে উত্তেজিত জনতা তাকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এলাকাবাসী ও হত্যার শিকার শিশুর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর গ্রামের ফজলু মিয়া প্রতিবেশী সাত বছরের এক শিশু কন্যাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর ধারালো ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ বালি চাপা দিয়ে রাখে। এক পর্যায়ে ফজলুর বাড়ির ভিতরে বালির গর্ত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলুকে আটক করে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং গাছপালা কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ফজলুকে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ওসি আবু বকর সিদ্দিক অভিযুক্ত ফজলুর বাড়িতে আগুন ও গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ধাওয়া করে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর পুলিশ সুপার, ইউএনও সেনাবাহিনী, রিজার্ভ ফোর্স, সিআইডিসহ বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় ওসি আবু বকর সিদ্দিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হত্যার শিকার শিশুটি ওই গ্রামের আরিফুল দম্পতির একমাত্র সন্তান। স্থানীয় বাসিন্দারা ফজলু মিয়ার ফাঁসি দাবি করে বিক্ষোভ করেছেন।
মো. রাখিবুল হাসান রাখিব/এমআই