বজ্রপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জে ৮ জনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ২০:৪০

ছবি : সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১১ মে) বিকেলে দুই জেলায় এসব ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
বজ্রপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও আখাউড়া উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—সরাইলের কালিকচ্ছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, নাসিরনগরের গোকর্ণ গ্রামের শামসুল হুদা, ভোলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের জাকিয়া বেগম, আখাউড়ার রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া এবং বনগজ গ্রামের জামির খাঁ।
আহতরা হলেন—নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামের মুক্তো মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া (১৭), এবং চাতলপাড় ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামের ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী হামিদা বেগম (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগরের টেকানগর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলেই মারা যান। গোকর্ণ গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় মারা যান কৃষক শামসুল হুদা। দুর্গাপুর গ্রামে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে শিশুর সঙ্গে খেলার সময় বজ্রপাতে মারা যান জাকিয়া বেগম।
অন্যদিকে, আখাউড়ার বনগজ গ্রামে ধান কাটার মেশিন নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় জামির খাঁ ও রুটি গ্রামে নিজ জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে সেলিম মিয়া মারা যান।
এদিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর ও হোসেনপুর উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—ভৈরব উপজেলার ফয়সাল মিয়া (২৮), ফারুক মিয়া (৬৫) এবং কুলিয়ারচরের কবির মিয়া (২৫)। আহত হয়েছেন হোসেনপুরের আবু বকর (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, বজ্রসহ বৃষ্টির সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উম্মে হাবিবা জুঁই জানান, বজ্রপাতে আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হলে তাদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত আবু বকরকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তানভীর হাসান জিকো।
আব্দুর রউফ ভূইয়া/লিটন হোসাইন জিহাদ/এআরএস