Logo

সারাদেশ

দুম্বার খামার করে তাক লাগালেন রবিউল

Icon

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১৬:৪১

দুম্বার খামার করে তাক লাগালেন রবিউল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

দুম্বার খামার গড়ে আলোচনায় এসেছেন নীলফামারীর তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম কাজল। জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাটারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল। তার বাবা মৃত আব্দুর রহমান কাটারী। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছোট। বড় ভাই রেজাউল ইসলাম নয়ন পঁচিশ বছর আগে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান।

রবিউলের খামার গড়ার পেছনে বড় ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নয়নের সহযোগিতায় তিনি প্রথমে দুটি দুম্বা কিনে খামার শুরু করেন। এখন তার খামারে রয়েছে ২৭টি দুম্বা—এর মধ্যে বড় ১৯টি, ছোট ৮টি।

প্রতিদিনই আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই খামারটি দেখতে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার আলী বলেন, ‘ভিন্নধর্মী পশুর এই খামার দেখতে অনেকেই আসছেন। এর মাধ্যমে গ্রামের পরিচিতিও বেড়েছে।’

সরেজমিন দেখা যায়, খামারের দুম্বাগুলো খোলা মাঠে ঘাস খাচ্ছে। খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে কাঁচা ঘাস, চালের কুড়া, খৈল ও ভূসি। দুম্বার দেখাশোনায় রয়েছেন দুইজন কর্মচারি। যারা সারাক্ষণ খামারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।

রবিউল জানান, ‘সাধারণত দেশে দুম্বা পালন খুব একটা দেখা যায় না। আবহাওয়া উপযোগি হলেও এই পশুটি আমদানি করাই কঠিন। আমার ভাই সৌদি আরব থেকে ভারতের ইমিগ্রেশন হয়ে দুম্বা দুটি ঢাকায় আনেন, সেখান থেকে সৈয়দপুরে নিয়ে আসা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বড় ভাইয়ের পরামর্শে তুর্কি জাতের দুটি দুম্বা পরিবহন খরচসহ প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনি। ছয় মাসের মধ্যেই বাচ্চা দেওয়া শুরু করে। এখন খামারে ২৭টি দুম্বা রয়েছে। বাজারমূল্য প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা।’

তার মতে, ‘দুম্বার রোগবালাই খুব কম। গরু বা ছাগলের তুলনায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেশি। তাই খামারটি লাভজনক।’

খামারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শখের খামারটি এখন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার ইচ্ছা আছে। প্রতি দুম্বার ওজন ৫০ থেকে ১০০ কেজি। কোরবানির সময় দাম দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ওঠে। কেউ কিনতে চাইলে ০১৭১৩-৮৯৯৪৯২ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।’

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার রায় বলেন, ‘আমাদের দেশের আবহাওয়া দুম্বা পালনের জন্য অনুকূল। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। দেশীয় খাবারেই দুম্বা বেঁচে থাকতে পারে। সঠিক পরিচর্যায় কম খরচে বেশি লাভ সম্ভব।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নীলফামারীর সৈয়দপুরে এই প্রথম দুম্বার খামার করেছেন রবিউল ইসলাম। আমি খামারটি পরিদর্শন করেছি। তুর্কি জাতের এই দুম্বাগুলো দেশের আবহাওয়ায় উপযোগি। তার এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

তৈয়ব আলী সরকার/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর