মাদ্রাসার নামে চাঁদাবাজি, গণপিটুনির কবলে ৩ প্রতারক

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১৪:৫৬
ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর এলাকায় বিভিন্ন মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে চাঁদা তুলতে গিয়েজনতার হাতে আটক হয়েছেন তিন প্রতারক।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন—মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার ইশিবপুর গ্রামের মো. এনামুল হক মুন্সী, একই এলাকার সোনা মিয়া ও শরীয়তপুর জেলার চন্দ্রপুর গ্রামের ইব্রাহিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাদ্রাসা-মসজিদের নামে চাঁদা তুলে আসছিল। ঘটনার দিন চরকমলাপুর এলাকায় সন্দেহভাজন আচরণ দেখে স্থানীয়রা তাদের আটক করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মিথ্যা পরিচয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি স্বীকার করেন।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতার কাছে চক্রটি গণপিটুনির শিকার হয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং প্রতারকদের অঙ্গীকার গ্রহণের মাধ্যমে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নগরকান্দা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারা শুধু হাট-বাজারই না; বরং শহরের বাসা-বাড়িতে গিয়েও মাদ্রাসায় কোরআন, কিতাব কেনার কথা বলে টাকা কালেকশন করে আসছিল এবং অবাক করার বিষয় হলো- তাদের কেউই মাদ্রাসায় পড়েনি; বরং কৃষক ও কলেজপড়ুয়া। অথচ, তাদের দেখলে মনে হয়- বড় হুজুর। আলেমদের লেবাস পরে তারা এই অনৈতিক কাজ করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই চক্রটি শুধু ফরিদপুর নয়, আশপাশের জেলা ও উপজেলা গুলোতেও একই কায়দায় প্রতারণা করে আসছে।
পারভেজ মিয়া/বিএইচ