
বসতবাড়ির জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলা চালিয়ে তিন নারীকে পিটিয়ে আহতের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ফারজানা আক্তার (২৭) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা (৬ মাস) নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৫ মে) ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল গ্রামের।
ওই গ্রামের কালাম রাঢ়ীর ছেলে আরিফ রাঢ়ি অভিযোগ করে বলেন, একই বাড়ির সাব্বির খলিফা ও লিয়াকত খলিফা গংদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাড়ির উঠানে ধান শুকানো নিয়ে আমার ভাবী রুমি বেগম (২৫) এবং মা মুকুল বেগমের (৫৫) সাথে প্রতিপক্ষ সাব্বির ও লিয়াকতের স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়।
আরিফ রাঢ়ি অভিযোগ করে আরো বলেন, একপর্যায়ে সাব্বির, লিয়াকত ও তাদের সহযোগীরা আমার মা ও ভাবির ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফারজানা হামলা ঠেকাতে গেলে তাকেও বেধরক পিটিয়ে ও পেটে লাথি দিয়ে আহত করা হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে (ফারজানা) উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পেটে লাথির আঘাতে ফারজানার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আমার মা, ভাবী ও স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্বির ও লিয়াকত খলিফা বলেন, ‘হামলার সাথে আমরা জড়িত নই। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।’
মামলা না নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বরিশাল উজিরপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ না দিলে মামলা রুজু করা হবে কীভাবে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
জেআই জুয়েল/এমআই