
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে বন্ধুর বউকে ভাগিয়ে এনে দুই বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি, উপজেলার ডুমুরগাছা গ্রামের রামপতি রবিদাসের ছেলে তিলক চাঁন। সে ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ পদে কর্মরত।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই নারী তিলক চাঁনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খাসতালুক গ্রামের গনেশের ছেলে ভীম বাবু তার বন্ধু। সেই সুবাদে তিলক মাঝেমধ্যেই ভীম বাবুর বাড়িতে যাতায়াতের এক পর্যায়ে তার স্ত্রীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
এর আগে, গত ২০২৩ সালের ৯ জুন মধ্যরাতে ভীম বাবুর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় তিলক চাঁন। পরে তিনি উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুঞ্জ নাকাই গ্রামের হায়দার আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন।
ওই নারী জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে তাকে বিয়ে না করেই তার সাথে ঘর-সংসার করে আসছি তিলক চাঁনের সাথে। তাকে বারবার মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়েও লাভ হয়নি। বরং আমাকে উল্টে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছে। আমাকে বিয়ে না করে ব্লাকমেইল করে মাসের পর মাস আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।
তবে তিলক চাঁন জানান, ২০২৩ সালের ১১ জুন ঢাকা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিবাহের চুক্তিনামা সম্পাদনা করা হয়। মন্দিরে গিয়ে বিয়ে ও রেজিস্ট্রি করা না হলেও চুক্তিনামা অনুযায়ী ঘর-সংসার করছি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আতাউর রহমান/এমআই