পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা চেষ্টা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ২০:৪৭
-6828a18d03060.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে রত্না খাতুন নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (১৭ মে) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মেছোপাড়া গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী মাহবুব আলম টুটুল (৩২) বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত রত্না খাতুন (২৫) একই গ্রামের আমোদ মল্লিকের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রত্না খাতুনের সঙ্গে বাহির বোয়ালদহ গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মাহবুব আলম টুটুলের ৯ বছর আগে পরিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে এক বছর আগে টুটুলের সংসার ছেড়ে রত্না খাতুন অন্যত্র বিয়ে করেন। সেখানে মাস খানেক সংসার করার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথেও তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে তিনি প্রথম স্বামী টুটুলের কাছে ফিরে আসেন।
নিহতের বোন মরিয়ম বলেন, গত রবিবার রত্না তার প্রথম স্বামীকে আবার বিয়ে করেন। বিয়ের পর শশুড় বাড়িতেই ছিলেন টুটুল। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে রত্নার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন তিনি। এ নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। শনিবার দুপুরেও দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। তারই এক পর্যায় স্বামী টুটুল ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে ও পেটে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী রত্নাকে। এরপর তিনি নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, মৃত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বুকে ও পেটে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামীও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রত্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমএম/এমএইচএস