
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ইয়াসিন হোসেন সোহান (২৫) নামে এক যুবক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। শনিবার রাতে উপজেলার পৌর এলাকার ভাটিয়ালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসিন হোসেন সোহান ভাটিয়ালপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের বড় ছেলে।
রোববার (১৮ মে) সকালে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য হরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা গোফরান মিয়া বলেন, সোহান তাদের চার ভাই-বোনের মধ্যে বড়। তার বাবা অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক মাস পূর্বে তার মায়ের শরীরে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। চিকিৎসার খরচ মেটাতে আর্থিক অনটনে ভুগতে থাকে তারা।
শনিবার বিকেলে সে তাদের বিল্ডিং-এর একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে দরজা না খোলায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ডাকাডাকি করতে থাকে। একপর্যায়ে দরজা না খোলায় তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ইয়াসিন হোসেন সোহানের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে। পরিবার থেকেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
এর আগে ‘ইয়াসিন হোসেন সোহান’ নামে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার মা-বাবা হয়তো আমাকে কোনোদিনও ক্ষমা করবে না। কীভাবে ক্ষমা করবে বলেন! আমি যে তাদের স্বার্থপর ছেলে। আমার জায়গায় যদি একটা মেয়ে জন্মাইত তাইলেই হয়তো তাদের এই দুর্দিন দেখতে হইতো না।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারেন। ময়নাতদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এমবি