ভারতের নিষেধাজ্ঞায় প্রভাব পড়েনি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ১৮:০১
-682b1d9f151ff.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ থেকে ভারত প্লাস্টিকসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশের একমাত্র চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় খুব বেশি প্রভাব পড়বেনা বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারকরা। বন্দরটি দিয়ে পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে ৪২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে। রোববার (১৮ মে) ভারতের নিষেধাজ্ঞাকৃত পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রাক বন্দর থেকে ফেরত গেছে। অন্যদিকে ঝুট কাপড়ের উপর নিষেধাজ্ঞা না থাকার কারণে এই পণ্য রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে।
গত ১৭ মে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কতিপয় পণ্য আমদানিতে বন্দর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। পণ্যগুলোর মধ্যে ফলমূল, ফল-স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাবার (যেমন : বিস্কুট, চিপস, কনফেকশনারি), তুলা ও তুলা বর্জ্য, প্লাস্টিকজাত ও পিভিসি পণ্য, ডাইস, প্লাস্টিকসাইজার, গ্র্যানুলস ও কাঠের আসবাব- এসব পণ্যের আমদানি আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের এলসিএস (ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি এলসিএস দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে ভারতের এসব নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৯৫ শতাংশ পাথর আমদানি হয়ে থাকে। এসব পাথর ভারত ও ভুটান থেকে আমদানি নির্ভর। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি হয় সীমিত পরিমাণে। এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কটন র্যাগস, প্রসেস ফুট ও প্লাস্টিক দানা রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া ভারতে সীমিত পরিসরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী ও প্লাস্টিক পণ্যসহ পিভিসি ডোর (দরজা) রপ্তানি হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুমন ইসলাম জানান, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে রোববার ভারতে এক গাড়ি পিভিসি ডোর রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা সেটা না নেয়ায় বন্দর থেকে পণ্যটি ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রপ্তানিকারক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এই বন্দর দিয়ে খুব বেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়না। তাই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খুব বেশী পড়বেনা।
এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ভারত যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেসব পণ্য আমাদের চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে তেমন একটা যায় না। শুধুমাত্র ফিনিস গুডস এর উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। কাঁচামাল জাতীয় পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পলিস্টার কটন রেকস বা ঝুট গতকালও রপ্তানি হয়েছে। ভারতের এ নতুন নিষেধাজ্ঞায় তেমন প্রভাব পড়েনি। আমাদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক রয়েছে।’
এসকে দোয়েল/এমআই