আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে গণশুনানি

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ১৭:৩৩

ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) আয়োজিত ‘আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পের পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন’ শীর্ষক জনমত যাচাই ও গণশুনানি মঙ্গলবার (২০ মে) পলাশ উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, পরিবেশবিদ ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
১৯৯২ সাল থেকে পরিচালিত এ প্রকল্পটি আশুগঞ্জ ও ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শীতলীকরণ ব্যবহৃত পানি পুনর্ব্যবহার করে সেচ যোগায়। বর্তমানে পঞ্চম ধাপে পলাশ, নরসিংদী সদর ও শিবপুর উপজেলা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
গণশুনানিতে পানি সরবরাহে অসুবিধা, পানির মান ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
পলাশ উপজেলার ভূমি কমিশনার এ এইচ এম ফখরুল হোসাইন জানান, শানের বাড়ি এলাকায় পানি কালো হওয়ার কারণ ৮-৯টি মুরগির খামার থেকে ময়লা পড়ছে, যা দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। কৃষকরা খাল খনন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুর মোল্লা বলেন, ‘সমন্বিত প্রয়াসে প্রকল্প সফল করা সম্ভব।’
কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, ‘কৃষকদের অংশগ্রহণ ও সমন্বয় ছাড়া প্রকল্প সফল হবে না।’
প্রকল্প বাস্তবায়নের সুফল হিসেবে উল্লেখ করা হয় : মাছ উৎপাদনে ১০০০ মেট্রিক টন বৃদ্ধি, প্রায় ৮৮ হাজার কর্মদিবস সৃষ্টির সুযোগ, সেচাধীন এলাকা ১০,৫৬৫ থেকে ১১,২৭২ হেক্টরে বৃদ্ধি এবং খাল পুনঃখননের মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়ন।
সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে প্রকল্পটি সফল হলে দেশের কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এআরএস