Logo

সারাদেশ

ফখরুদ্দিন রোডে খানাখন্দ, দেখার কেউ নেই

Icon

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১৬:১৫

ফখরুদ্দিন রোডে খানাখন্দ, দেখার কেউ নেই

ছবি : বাংলাদেশের খবর

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত সংযোগ সড়কটির বেহাল দশা যেন কারও নজরে নেই। মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নের রব নগরকান্দি গ্রামে অবস্থিত ‘ফখরুদ্দিন রোড’ খানাখন্দে ভরা। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বহুদিন ধরে।

রাস্তাটি হাসাইল-টঙ্গীবাড়ী প্রধান সড়ক থেকে শুরু হয়ে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩৩২ মিটার দীর্ঘ। স্থানীয়রা জানায়, ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে পিচঢালাই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণকালে সাইনবোর্ড না থাকায় কাজটি কোন সংস্থা বাস্তবায়ন করেছিল, তার কোনো তথ্য এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা রুপন আহমেদ বলেন, সড়কটির অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে আমাদের শিশুরা নয়ানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে কষ্ট পায়। এছাড়া পুরাতন জামে মসজিদের মুসল্লিরাও দুর্ভোগে পড়ছেন। আমরা অনেকবার সরকারি দপ্তরে ঘুরেছি, কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না।”

স্থানীয় বাসিন্দা রুপন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করায় ফখরুদ্দিনের বাড়ির পাশের নয়ানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও রব নগরকান্দি পুরাতন জামে মসজিদের মুসল্লিরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরে হয়রান হচ্ছি। ৩৩২ মিটার দীর্ঘ এ সড়কটির কোনো কোড নম্বর নেই বলে কোনো দপ্তরই সংস্কারের দায়িত্ব নিতে চায় না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্বজন মাতাব্বর জানান, সড়কটি আমাদের সংস্কারের আওতায় পড়ে না। আমরা পূর্বে এ সড়কের কাজ করিনি। নিয়ম বহির্ভূত কাজ করতে পারব না।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, সড়কটি আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নতুন কোড নম্বর পেলে আমরা সংস্কারে উদ্যোগী হতে পারব।

ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার হোসেন মোল্লা জানান, ফখরুদ্দিন সাহেবের আমলে স্পেশাল পাওয়ারে দ্রুত সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এরপর এ সড়কের সংস্কার হয়নি। যদি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আবেদন করলে কাজ হয় তাহলে আমরা অবশ্যই তা করব।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর