বরগুনা সদর থানার বিশেষ আইন ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে আদালতে তোলার সময় ডিম নিক্ষেপ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। 

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে এই ৫ বারের সংসদ সদস্যকে স্কট করে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়।

পরে দুপুর দুইটার দিকে বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম মো. মনিরুজ্জামানের আদালতে তোলা হয় তাকে। আদালতের শুনানি শেষে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর জামিন না মঞ্জুর কারাগারে প্রেরণ করে আদালত। এ সময় আদালত চত্বরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এবং বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং শম্ভুকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দীর্ঘ দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে মহানগর গোয়েন্দা শাখার একটি টিম শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নিউমার্কেট থানার আন্দোলন চলাকালে নিহত ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়াও আশুলিয়া থানার অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

গত ৩০ এপ্রিল বরগুনায় ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি হত্যা মামলায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি বন্দিরত অবস্থায় ছিল। বৃহস্পতিবার (২২ মে) তাকে এই মামলার দৃশ্যত গ্রেপ্তার দেখিয়ে অতিরিক্ত মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তার জামিন না মঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন বলেন, বরগুনায় বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ১ নম্বর আসামি শম্ভুকে আজ বরগুনার আদালতে তোলা হয়। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়।

খান নাঈম/এমআই