-682ffbf17c569.jpg)
পাঠার ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করছেন খামারির স্ত্রী
গাভী কিংবা ছাগী নয়, এবার দুধ দিচ্ছে পাঠা ছাগল! এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নগর মোহাম্মদপুর ক্যানেলপাড়া এলাকায়। এলাকাজুড়ে এ নিয়ে চলছে চাঞ্চল্য আর বিস্ময়।
স্থানীয় খামারি আবুল কাশেম দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ছাগল প্রজনন সেবা দিয়ে আসছেন। শুধু নিজ এলাকায় নয়, তার খামারের পাঠাগুলো চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি তার একটি পাঠা ছাগল থেকে প্রতিদিন আধা কেজি করে দুধ সংগ্রহ করছেন তিনি।
আবুল কাশেমের স্ত্রী সেলিনা বেগম জানান, ‘পাঠা ছাগলটির বয়স প্রায় তিন বছর। এতদিন আমরা কখনো লক্ষ্য করিনি যে, তার ওলান আছে। এক সপ্তাহ আগে দেখি তার পেটের নিচে ওলানের মতো কিছু একটা ঝুলে আছে। পরে ওটায় চাপ দিলে দেখি দুধ বের হচ্ছে।’
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন আবুল কাশেমের খামারে। অনেকেই পাঠাটি দেখতে আসছেন, কেউ কেউ আবার কৌতূহলবশত সেই দুধ খাচ্ছেন বা বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
পাঠা ছাগলটি দেখতে আসা একাধিক দর্শনার্থী বলেন, আমরা জানতাম পাঠা ছাগল কেবল প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয়। কখনো শুনিনি পাঠা ছাগল দুধ দেয়। এটা আমাদের কাছে অলৌকিক বলেই মনে হচ্ছে।
তবে কুষ্টিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রকিউর জামান জানান, এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়। পশুর শরীরে হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে স্তন্যগ্রন্থির বিকাশ ঘটে এবং কিছু ক্ষেত্রে দুধ আসতে পারে। এটি একটি বিরল ঘটনা হলেও বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যাযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, এই দুধ পানযোগ্য কি না, তা জানতে হলে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষার ফল না জেনে এই দুধ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- আকরামুজ্জামান আরিফ/এটিআর