চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নৌ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাড়ছে পর্যটন

এম ফাহিম
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১১:৩২
-68300863ca807.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ভোলার চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বদলে যাচ্ছে স্থানীয় জীবনযাত্রা। একদিকে যেমন বাড়ছে পর্যটকের আনাগোনা, অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যও পেয়েছে নতুন গতি।
উপজেলার ঢালচর, চর কুকরি-মুকরি, চরপাতিলা ও চর মন্তাজ—এই চারটি দ্বীপের সঙ্গে এখন প্রতিদিনই সরাসরি যাতায়াত করছেন কয়েক হাজার মানুষ। চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরকচ্ছপিয়া লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৯টি লঞ্চ ও ১০টি স্পিডবোট চলাচল করছে এসব দ্বীপে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পর সম্প্রতি লঞ্চসংখ্যা বাড়ানো হয়। আগে দৈনিক মাত্র ৪টি লঞ্চ চলত, যার ফলে যাত্রীদের সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো ছিল কষ্টসাধ্য। এখন স্থানীয়দের উদ্যোগে চালু হওয়া অতিরিক্ত ৫টি লঞ্চ মিলিয়ে মোট ৯টি লঞ্চ চারটি রুটে নিয়মিত চলাচল করছে। এতে পর্যটক ও পণ্যবাহী যাত্রীরা উপকৃত হচ্ছেন।
চরকচ্ছপিয়া লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢালচর, চর কুকরি-মুকরি, চরপাতিলা ও চর মন্তাজগামী লঞ্চগুলো ঘাটে প্রস্তুত। যাত্রীরা লঞ্চে উঠছেন, মালামাল উঠানো হচ্ছে।
চর কুকরি-মুকরির বাসিন্দা ফয়েজ ও মঞ্জুর আলম বলেন, আগে লঞ্চ কম থাকায় অপেক্ষায় থাকতে হতো। এখন ঘন ঘন লঞ্চ ছাড়ায় আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। কর্মজীবীদের যাতায়াত সহজ হয়েছে, পর্যটকদেরও ভিড় বাড়ছে।
এদিকে, চরকচ্ছপিয়া ও চর কুকরি-মুকরি ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের উঠানামায়ও বেশ ভোগান্তি পোহাতে হতো। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি বলেন, যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে ইতোমধ্যে দুটি পন্টুন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই উদ্বোধন হবে। এতে যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং পর্যটন খাতে গতি আসবে।
- এটিআর