চরফ্যাসনে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২৫ হাজার পশু

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১৬:১৪

ছবি : বাংলাদেশের খবর
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলার চরফ্যাসনে কোরবানির পশু প্রস্তুতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও গৃহস্তরা। উপজেলার ১৮৬টি গরুর খামার, ৮২টি মহিষের খামার ও ২৪টি ছাগলের খামার থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫১টি গবাদিপশু। যা উপজেলার চাহিদা ২২ হাজার ৪৬৬টির চেয়ে প্রায় ২৬শ বেশি।
সরেজমিনে চরফ্যাসন সদর পশুর হাট, চেয়ারম্যান বাজার ও দুলারহাট পশুর হাটে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে খামারি, গামারি ও ব্যাপারীর গরু, মহিষ ও ছাগল কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দুলারহাট পশুর হাটে দেখা মেলে ক্রেতা কবির খানের। তিনি বলেন, শুক্রবার (২৩ মে) দুলারহাট বাজারই সবচেয়ে বড় গরুর হাট। গতবার যেই গরু ১ লাখে বিক্রি হয়েছিল, এবার তা ৮০-৯০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, অন্যান্য জেলা থেকে গরু আসলে দাম আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
চরফ্যাসন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তথ্যমতে, এ উপজেলায় ১৮৬টি গরুর খামার, মহিষের খামার ৮২টি ও ছাগলের খামার ২৪টি রয়েছে। এসব খামারের গরু, মহিষ, ছাগলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি বিভাগের ৭টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে।
উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের গরুর খামারি মো. বিল্লাল জানান, এ বছর কোরবানির জন্য আমার খামারে দেশি-বিদেশিসহ বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত করেছি। এগুলো স্থানীয়ভাবে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এ বছর খৈল, কুঁড়ার ভুসি ও খড়সহ অন্যান্য পশু খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণে গরু পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশানুরূপ দাম পেলে লাভবান হওয়ার আশা করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাজন আলী জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৭টি মেডিকেল টিম গ্রামে গিয়ে গৃহস্থ ও গামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় যে পরিমাণ দেশি জাতের গরু রয়েছে, তা কোরবানিতে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র পাঠাতে পারবেন খামারি ও গৃহস্থরা।
এমবি