Logo

সারাদেশ

সাগরে নিষেধাজ্ঞার মাস পেরিয়ে গেলেও চাল পাননি ভোলার ৬৫ হাজার জেলে

Icon

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ০৯:৫০

সাগরে নিষেধাজ্ঞার মাস পেরিয়ে গেলেও চাল পাননি ভোলার ৬৫ হাজার জেলে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো প্রণোদনার চাল পাননি ভোলার নিবন্ধিত ৬৫ হাজার জেলে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। 

ভোলার দৌলতখান উপজেলার জেলে ফারুক মাঝি বলেন, সাগরে অভিযান শুরুর পর থেকেই আমরা সাগরগামী জেলেরা ঠিকমতো বরাদ্দের চাল পাই না। আমাদের নামে চাল বরাদ্দ থাকলেও যারা বিতরণ করে, তারা সাগর নিবন্ধিত জেলেদের না দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো লোকদের মাঝে চাল ভাগ করে দেয়। ফলে আমরা প্রকৃত জেলেরা প্রতিবারই বঞ্চিত হই।

অন্য আরেক জেলে শহীদ মাঝি বলেন, সরকার ৫৮ দিনের অভিযান দিয়েছে, আমরা তখন থেকেই বসে আছি। জালের কাজ করি, নৌকার কাজ করি। আমরা সরকারের কথা রেখেছি। কিন্তু সরকার তার কথা রাখেনি। আজ এক মাসেরও বেশি হয়ে গেছে, এখনও কোনো চাল পাইনি। তাহলে আমরা কীভাবে চলব? এনজিওর ঋণের জন্য লোকজন বাড়িতে এসে দাঁড়ায়। সেই কিস্তিও তো বন্ধ হয়নি। আমরা বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

কাশেম মাঝি নামে আরেক জেলে বলেন, সরকারের অভিযান মেনে সাগরে যাচ্ছি না। নদীতে যাই, কিন্তু সেখানে মাছ নেই। সমিতির কিস্তি, ধার-দেনা বাড়ছে। এমন করে কতদিন চলা যাবে? অনেকেই বাধ্য হয়ে চুরি করে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে। এখন আমাদের যাওয়ার ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। না গেলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

জেলেদের অভিযোগ, মৎস্য বিভাগের উদাসীনতার কারণে অনেক প্রকৃত জেলের নাম নিবন্ধিত হয়নি। তাই দ্রুত সঠিক তালিকা করে প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার সময় এনজিওর ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখারও দাবি জানান জেলেরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার প্রথমবারের মতো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মিল রেখে সাগরে ৬৫ দিনের জায়গায় ৫৮ দিনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই ভিজিএফ চাল দ্রুত জেলেদের মধ্যে বিতরণ শুরু করা হবে।

জেলার সাতটি উপজেলায় সাগরে মাছ ধরেন এমন জেলের সংখ্যা লক্ষাধিক হলেও সরকারি নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৫ হাজার। চলমান নিষেধাজ্ঞা আগামী ২১ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এ সময় জেলেদের দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা— প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কেজি।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর