
কক্সবাজার জেলায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি। জমতে শুরু করেছে জেলার ৯৪টি হাটে কোরবানির পশুর বিকিকিনি।
ইতোমধ্যে কক্সবাজার প্রাণিসম্পদ দপ্তর সুখবর দিয়েছে—এবার কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না। স্থানীয় খামারিরা চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুত রেখেছেন। তবে তারা শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন—মিয়ানমার ও ভারত থেকে চোরাই পথে আসা গরু- মহিষের ঢল থামাতে না পারলে তাদের পুঁজি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
খামারিদের দাবি, বিজিবি-পুলিশসহ সকল বাহিনীকে মিয়ানমার ও ভারত সীমান্তে আরও কড়া নিরাপত্তা জোরদার করে চোরাচালান বন্ধ করতে হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. এম. খালেকুজ্জামান জানান, কক্সবাজারে কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পশু। ফলে চাহিদার তুলনায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু অতিরিক্ত মজুত রয়েছে।
তথ্যমতে, এবার কোরবানিতে পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৭টি। বিপরীতে মজুত রয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭৬টি। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ১৫৯টি। গরুর মধ্যে রয়েছে ৬৫ হাজার ৯১টি ষাঁড়, ৩০ হাজার ৬০টি বলদ, ১১ হাজার ৮টি গাভি এবং ৫ হাজার ৯১৩টি মহিষ। এছাড়া ছাগল রয়েছে ৪১ হাজার ৭৫০টি এবং ভেড়া ১৩ হাজার ৫৪টি।
জেলায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, কক্সবাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮ হাজার ৭৮৪টি খামার রয়েছে। এর বাইরে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খামার।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. এম. খালেকুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসা গরু-মহিষ স্থানীয় বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। খামারিরা পুরো বছর ধরে তাদের সমস্ত পুঁজি দিয়ে গরু-মহিষ লালনপালন করেন কোরবানির সময় লাভের মুখ দেখার আশায়। চোরাচালান বন্ধ না হলে উৎসাহ হারাবেন স্থানীয় খামারিরা। পড়বেন চরম ক্ষতির মুখে।
এমবি