Logo

সারাদেশ

গাইবান্ধায় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রা

‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ নয়, ‘আদিবাসী’ পরিচয়ে স্বীকৃতি দাবি

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১৭:১১

‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ নয়, ‘আদিবাসী’ পরিচয়ে স্বীকৃতি দাবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

গাইবান্ধায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলায় সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ নয়, ‘আদিবাসী’ পরিচয়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবে তারা বলেন, `জনসাধারণ আদিবাসী ও দলিত কারা, তা জানে না। আমাদের রয়েছে নিজস্ব রীতি, মূল্যবোধ, খাদ্যাভ্যাস ও সাংস্কৃতিক জীবনধারা। এসব টিকিয়ে রাখতে বাঙালি জনগোষ্ঠীর সংবেদনশীলতা ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রয়োজন।'

‘অধিকার, জীবিকা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলি একতায়’—এই স্লোগানে উৎসবের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ‘অবলম্বন’ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ও আর্টিকেল নাইনটিন-এর সহযোগিতায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ লিডার ললিতা কিস্কু। স্বাগত বক্তব্য দেন অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী।

আলোচনায় অংশ নেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফজলুল হক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহফুজার রহমান, উদীচীর অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, প্রেসক্লাব সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, এনজিও কনসালটেন্ট সালমা পারভীন, ইয়ুথ লিডার স্মরণিকা মার্ডি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পাহাড় ও সমতলের প্রায় ৫০টি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। প্রায় ৪০ লাখ সদস্যের এই জনগোষ্ঠীর অনেক সংস্কৃতি ইতোমধ্যেই বিলুপ্তির পথে। মূলধারার বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এসবের পরিচিতি নেই বললেই চলে।

এর আগে সকাল ১০টায় তিন শতাধিক আদিবাসী যুব নারী-পুরুষ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে ফিরে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় তারা।

আতিকুর রহমান/এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর