Logo

সারাদেশ

স্বামী-সন্তান রেখে নারীর প্রেমে নারী, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য

Icon

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১১:২০

স্বামী-সন্তান রেখে নারীর প্রেমে নারী, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য

স্বামী-সন্তান রেখে ৩ সন্তানের জননী স্বপ্নার প্রেমে মজছেন মারুফা। পালিয়ে এসে একসঙ্গে বসবাস করছেন দুজনে | ছবি : বাংলাদেশের খবর

নারীর প্রেমে পড়ে স্বামী-সন্তান ফেলে আরেক নারীর সঙ্গে বসবাস শুরু করেছেন ময়মনসিংহের এক নারী। ব্যতিক্রমী এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মারুফা (২৫) নামের এক নারী মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামাগাঁও গ্রামের স্বপ্না (৩৫) নামের এক নারীর প্রেমে পড়ে স্বামী ও এক সন্তান রেখে পালিয়ে আসেন। বর্তমানে তারা শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তর পাড়া এলাকায় রফিক মিয়ার ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে মারুফা ও স্বপ্নার পরিচয় হয়। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে দীর্ঘদিন কথা চালাচালির মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। চার মাস আগেই তারা একবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত শনিবার (২৪ মে) রাতে রফিক মিয়ার ভাড়া বাসায় ওঠেন।

দুজনেই বিবাহিত। মারুফার একটি সন্তান রয়েছে এবং স্বপ্না তিন সন্তানের জননী। মারুফার স্বামী শাহজাহান (৩০) বলেন, মারুফা আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আগেও একবার চলে গিয়েছিল, পরে বুঝিয়ে ফিরিয়ে এনেছিলাম। এবার আবার চলে গেছে।

মারুফা বলেন, আমি পরিবারকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না। তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। এরপর স্বপ্নার পরিবার না মানায় আমরা দু’জন এখানে এসে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি।

এদিকে স্বপ্না জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের পর থেকে আমাদের মধ্যে ভালোবাসা গড়ে ওঠে। আমি তাকে ভালোবাসি, সে আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে আর যেতে দেব না। বাঁচলে একসঙ্গে বাঁচব, মরলেও একসঙ্গে মরব।

ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ওই বাড়িতে শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক রফিক মিয়া বলেন, এক নারী আরেক নারীর প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়ে আসার ঘটনা জীবনে প্রথম দেখলাম। খুবই বিরল ঘটনা।

রফিকের স্ত্রী রিনা জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে দুই নারী এসে ঘর ভাড়া নেয়। সারা রাত তারা ঝগড়া করছিল। এক জনকে দেখে পুরুষের মতো মনে হয়। সন্দেহ হওয়ায় রোববার রাতে তারা নারী কি না যাচাই করি। পরে নিশ্চিত হই, তারা দুজনেই নারী। একজন হিজরা টাইপের। অপরজনকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় বলেও সন্দেহ আছে। রাতে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা রতন মিয়া বলেন, নারীর সঙ্গে নারীর প্রেম আমার ৭০ বছর বয়সে প্রথম শুনলাম। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ। এমন ঘটনা প্রতিহত করা উচিত।

ঘটনার ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, এক নারী আরেক নারীর টানে শ্রীপুরে এসেছেন— এমন কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • আতাউর রহমান সোহেল/এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর