Logo

সারাদেশ

সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধে খুন, চার ভাইসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১৯:৪৮

সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধে খুন, চার ভাইসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানীনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শেখ মাসুক মিয়া (৩৫) হত্যা মামলায় চার ভাইসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৬ মে) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।

নিহত শেখ মাসুক মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত শেখ মদরিছ আলীর ছেলে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—শেখ আলফু মিয়া (৪১), শেখ পংকী মিয়া (৪৩), শেখ তোতা মিয়া (৫৭), শেখ আব্দুর রব ওরফে লেবু মিয়া (৬৩), পংকীর স্ত্রী লাভলী বেগম, লেবু মিয়ার স্ত্রী শেখ আনোয়ারা বেগম (৪৮), মৃত আখলাছ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন ওরফে অহর (৪৬) এবং গ্রামতলা দাসপাড়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ওরফে দিপু মিয়া (৪৩)। আসামিদের মধ্যে দিপু মিয়া ছাড়া বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন বিকেল ৩টার দিকে মাসুক মিয়া বাড়ি থেকে গোয়ালাবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী মোবাইলে কল করলে প্রথমে সংযোগ পাওয়া গেলেও পরে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

পরদিন ওসমানীনগরের দাসপাড়া গ্রামের গফুর মিয়ার বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে মাসুক মিয়ার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। মরদেহ শনাক্তে এলাকায় মাইকিং করা হলে তার ভাই শেখ আলফু ও শেখ তোতা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে  জানা যায়, প্রথমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শেখ আলফু মিয়া থানায় মামলা করেন।

তদন্তে গিয়ে ওসমানীনগর থানার তৎকালীন পরিদর্শক এসএম মাঈন উদ্দিন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাই আলফু, পংকী ও তোতাকে আটক করেন।

পরে থানার এসআই মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করেন এবং ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আল আসলাম মুমিন বলেন, ‘প্রবাসে থাকা অবস্থায় মাসুক মিয়া ভাইদের কাছে টাকা পাঠাতেন। সেই টাকা দিয়ে তারা নিজেদের নামে জমি কিনেন। দেশে ফিরে মাসুক তার নামে জমি লিখে দিতে বললে বিরোধ শুরু হয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে চার ভাই এবং দুই ভাবিসহ আটজন মিলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।’

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তবে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর