পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বনাঞ্চলে অবৈধ দখলমুক্ত করতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। সরকারকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (২৬ মে) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধরা পর্যটন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন রক্ষায় অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে বন বিভাগ ও প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, সবকিছুর মধ্যে ব্যক্তি স্বার্থ কিংবা দলের স্বার্থ টানবেন না। আমরা বাংলাদেশকে কোনো বর্বর, মায়াহীন দেশে পরিণত করতে চাই না। বনাঞ্চলে অবৈধ দখলমুক্ত করতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। সরকারকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। 

জানা যায়, নালিতাবাড়ীর বনের ভেতরে প্রায় ২২৩ একর খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ একর জমি সংরক্ষিত পাথর মহাল হিসেবে চিহ্নিত। সম্প্রতি দাওধরা গারো পাহাড় এলাকায় একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে বন্য হাতি সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও বনাঞ্চল রক্ষার সুপারিশে এ প্রকল্পে আপত্তি জানিয়েছে স্থানীয় বন বিভাগ।

এদিন বিকেলে মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন উপদেষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন সংরক্ষক কাজী মুহম্মদ নুরুল করিম, জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, নালিতাবাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দাওধরায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তাবিত পিকনিক স্পট পরিদর্শনে গেলে বনের মধ্যে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, বন দখল, পাথর ও বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করায় স্থানীয় দখলদারদের লোকজন সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে লোকজনের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়। যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

পরে সেখান থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ছয়জন সাংবাদিক আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহিদুল খান সৌরভ, বাংলা টিভির নাইম ইসলাম, সময় টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট বাবু চক্রবর্তীসহ অন্যরা।

এ সময় সাংবাদিক সৌরভকে উপদেষ্টার গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িতে তোলা হয়। এতে দখলদারপন্থীরা উত্তেজিত হয়ে উপদেষ্টার গাড়িবহরের ওপরও হামলা চালায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এমবি