
টুং-টাং শব্দে ব্যস্ত কামারপাড়া। ছবি : বাংলাদেশের খবর
ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এক মাস আগে থেকেই ছুরি, চাকু, বটি, চাপাতি ও দা তৈরির পাশাপাশি পুরোনো সরঞ্জামে শান দেওয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের কামার শিল্পীরা।
হাতুড়ি আর লোহার টুং-টাং শব্দে দিনরাত মুখরিত থাকে কামারপাড়া। কেউ হাঁপর টানছেন, সেই হাঁপরে পুড়ছে কয়লা, লোহা গরম হচ্ছে তাপে। আবার কেউ হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, চাপাতি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম।
কোরবানির ঈদে মাংস কাটার উপকরণের চাহিদা বেশি থাকায় কামারদের ব্যস্ততাও বেড়ে যায়। এ ব্যস্ততা থাকবে ঈদের দিন পর্যন্ত। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।
প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তাদের তৈরি সরঞ্জামের কেনাবেচা বেড়ে যায়। এ থেকে অর্জিত আয়ে সারা বছরের সংসার খরচ চালান তারা। বছরের অন্য সময় কামার শিল্পীরা অল্প কিছু কাজ করে কোনোভাবে সংসার চালিয়ে নেন। তাই কোরবানির ঈদই হয়ে ওঠে তাদের বাড়তি রোজগারের বড় সুযোগ।
নান্দাইল উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ছোট-বড় মিলে প্রায় শতাধিক হাটবাজার রয়েছে। প্রায় সব বাজারেই রয়েছে কামারের দোকান। তারপরও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একমাস আগেই শুরু হয় তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি।
নান্দাইল পুরাতন বাজারের স্বনামধন্য কামার কার্তিক কর্মকার, লিমন কর্মকার ও মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে কাজকর্ম বেশি থাকলেও এখন আর আগের মতো লাভ হয় না। আগে কয়লার দাম কম ছিল, সারাদিন কাজ করে ভালোভাবে সংসার চলত। কিন্তু এখন কয়লা আর লোহার দাম এত বেড়েছে যে, যে টাকা মজুরি আসে, তাতে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।”
নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল পুরাতন বাজারের স্বনামধন্য কামার কার্তিক কর্মকার, লিমন কর্মকার, মো. রফিকুল জানান, ঈদ উপলক্ষে আমাদের কাজকর্ম বেশি থাকলেও এখন আর আগের মতো লাভ হয় না। আগে কয়লার দাম কম ছিল। সারাদিন কাজ করে সংসার ভালোই চলত। কিন্তু বর্তমান বাজারে কয়লা আর লোহার যে দাম! যে টাকা মজুরি আসে, এতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেছে।
সারোয়ার জাহান রাজিব/এমবি