
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৬:৩০

ছবি : বাংলাদেশের খবর
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীসহ সিরাজগঞ্জের করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসাগর নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এতে বাড়ছে নদীভাঙনের তীব্রতা।
সদর ও শাহজাদপুর উপজেলার অন্তত ৯টি গ্রামে ভয়াবহ ভাঙনে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীতীরবর্তী মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই সপ্তাহে সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এবং শাহজাদপুরের মাকড়া, ধীতপুর, কুড়সী, বারপাখিরা, বড় চামতারা, গালা ও চর-ঠুটিয়া গ্রামের শতাধিক বাড়ি ও স্থাপনা ভেঙে গেছে।
ধীতপুরের ৭৫ বছর বয়সী কৃষক কালু মোল্লা বলেন, ‘১৯৮৮ সাল থেকে ১১ বার নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। এখন সব হারিয়ে অন্যের জমিতে ঘর তুলে থাকছি।’
মনোয়ারা বেগম (৬৫) বলেন, ‘জীবনে ১৪ বার নদীভাঙনের শিকার হয়েছি। এবার ভাঙলে কোথায় যাব, জানি না।’
কৃষক ফজর আলীর অভিযোগ, ‘সরকার শুধু আশ্বাস দেয়, কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
শাহজাদপুর ইউএনও কামরুজ্জামান বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান জানান, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং প্রকল্প হাতে নেওয়ার উদ্যোগ রয়েছে।
এআরএস
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন