‘তরুণদের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, তারাই বৈষম্য দূর করবে’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৬:৩৫

ছবি : বাংলাদেশের খবর
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘জল যার, জলা তার—এই নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। তরুণদের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, তারাই বৈষম্য দূর করবে।’
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জেলে ও বাঁওড় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে অল্প সময়ের জন্য এসেছি। বাঁওড় ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়, কিন্তু আপনাদের পক্ষে কথা বলতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সব দপ্তরে যাব। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাঝে হাওড়-বাঁওড়ের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় জেলেদের মন্ত্রণালয় হলেও হাওড়-বাঁওড়ের দখল ভূমি মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারাই ইজারা দেয়, আর আমরা হাত পেতে বলি, এটা আমাদের দেন—এটা লজ্জাজনক ও দুঃখজনক।’
বাঁওড়পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের দুর্দশার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘জন্মসূত্রে মৎস্যজীবী হয়েও মাছ চাষ করতে পারছেন না। অন্যের খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন—এটা খুবই কষ্টের। দেশি মাছ তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন, আজ তারা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।’
তিনি বলেন, ‘জল যার জাল তার—এই নীতিকে শুধু মুখে বললে চলবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশে বৈষম্যবিরোধী নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। এই প্রজন্মই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়বে।’
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের সভাপতি শরীফুজ্জামান আগা খান, ক্ষেত মজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অভ্যন্তরীণ) মোতালেব হোসেন প্রমুখ।
হালদার সম্প্রদায়, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বাঁওড় মৎস্যজীবী প্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে উপদেষ্টা বলুহর বাঁওড় পরিদর্শন করেন।
এম বুরহান উদ্দীন/এআরএস