Logo

সারাদেশ

লালমোহনে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা

Icon

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১১:৩৯

লালমোহনে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা

কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসতেই ভোলার লালমোহনের পশুর হাটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা হাটে তুলতে শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি জাতের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালমোহনে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৬ হাজার ১৭১টি গবাদি পশু। এর মধ্যে রয়েছে গরু ১০ হাজার ১৭০টি, মহিষ ৫৭৫টি, ছাগল ৪ হাজার ৭৫৫টি এবং ভেড়া ৬৭১টি। এসব পশুর গড় বাজার মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

হাটে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারিরা তাদের পালিত পশু নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। তবে এখনও বাজার পুরোপুরি জমে না উঠলেও আসন্ন কয়েকদিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

পশু বিক্রেতা মো. লিটন, ইব্রাহিম ও হারুন জানান, বাজারে ক্রেতার আনাগোনা বাড়লেও তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। তাদের দাবি, প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটাতাজা করায় খরচ বেড়েছে, ফলে কম দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।

লালমোহন ইউনিয়নের কর্তার কাচারি এলাকার খামারি লিটন বলেন, এবার প্রথমবারের মতো একটি দেশি গরু কোরবানির জন্য বাজারে তুলেছি। দাম চাচ্ছি দেড় লাখ টাকা, কিন্তু ক্রেতারা এক লাখ টাকার বেশি বলছে না। একটু বাড়ালে ছাড় দিতে পারি।

এদিকে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশু খুঁজে পেতে হাটে হাটে ঘুরছেন অনেক ক্রেতা। মো. সোহেল নামের এক ক্রেতা জানান, আমার বাজেট এক লাখ টাকা। কিন্তু বাজারে যেসব গরু পছন্দ হচ্ছে, সেগুলোর দাম বাজেটের বাইরে। তাই কয়েকটি হাট ঘুরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. রইস উদ্দিন বলেন, কোরবানিকে ঘিরে খামারিরা যাতে কোনোভাবে কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করতে না পারেন, সে বিষয়ে আমরা কঠোর নজরদারিতে রয়েছি। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটে ৪টি বিশেষ তদারকি টিম কাজ করছে। তারা ঈদের আগ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহেই হাটে পশুর সরবরাহ ও ক্রেতার উপস্থিতি আরও বাড়বে। তবে দাম নিয়ে দরকষাকষিতে ভিন্ন চিত্রও দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর