ঠাকুরগাঁও টিটিসিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ, তদন্তে দুদক

আবু সালেহ, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৭:২৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঠাকুরগাঁও সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের নামে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে লাইসেন্স বাবদ প্রতি প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করে আসছে টিটিসি কর্তৃপক্ষ। যদিও বিষয়টি নিয়ে অনেকেই মুখ না খুললেও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ইলেকট্রনিক্স বিভাগের প্রশিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদী পোস্ট দিলে ঘটনাটি সামনে আসে।
দেলোয়ার হোসেন তার পোস্টে দাবি করেন, বিআরটি’র নাম ভাঙিয়ে অটোমোটিভ ট্রেডের প্রধান প্রশিক্ষক সাদেকুল ইসলাম ও খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন লাইসেন্সের নামে টাকা তোলেন। তাদের বিরুদ্ধে তিনি রাজসাক্ষী হওয়ার কথাও জানান।
পোস্টটি ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনিক দপ্তর ও দুদকের নজরে আসে। এর পরপরই তাকে শোকজ করেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সামছুর রহমান।
এ নিয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি সত্য বলায় তারা সবাই মিলে আমাকে শোকজ করেছে। তবে দুদক তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।’
৭ মে দুদক ঠাকুরগাঁও বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালায়। তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তিন মাসের প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থীর কাছ থেকে লাইসেন্স দেয়ার নামে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, যারা টাকা দিয়েছেন, তারাই শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যারা দেননি, তাদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দকৃত ভাতা ও তেলও যথাযথভাবে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ফারুক হোসেন ও সাদেকুল ইসলাম গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সামছুর রহমান জানান, ‘কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ নিয়ে থাকলে সেটি অজানা।’
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজমির শরিফ মারজী বলেন, ‘লাইসেন্স বাবদ টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এআরএস