
নওগাঁয় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ছবি : বাংলাদেশের খবর
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসায় নওগাঁর বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে গরু কেনাবেচা জমে উঠেছে। তবে এবার হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, যৌক্তিক দামে এসব গরু বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারাও আগ্রহী। তবে বড় গরুর দাম আশানুরূপ না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন অনেক খামারি।
স্থানীয় হাটগুলোতে প্রচুর গরু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। স্থানীয়ভাবে কোরবানির জন্য গরু কেনাবেচা হলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বড় শহরের ব্যাপারীরা এখনও হাটে আসেননি। ফলে বেচাবিক্রির গতি কিছুটা কম।
চৌবাড়িয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি নাসির উদ্দীন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি। মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই হাটে কোরবানির জন্য প্রচুর গরু আমদানি হচ্ছে। তবে আমদানির তুলনায় বেচাবিক্রি কম। ছোট-মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। সে তুলনায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে কম। ঈদের আগে এখানে আর দুই দিন হাট বসবে। এই দুই হাটে যদি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বাজারের ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীরা আসেন, তাহলে বড় গরুর চাহিদা বাড়তে পারে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, জেলায় ছোট-বড় ১০৪টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী গবাদিপশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। মান্দার চৌবাড়িয়া ও সতিহাট, নিয়ামতপুরের ছাতড়া, মহাদেবপুরের মহাদেবপুর সদর ও মাতাজীহাট, নওগাঁ সদরের ত্রিমোহনী, বদলগাছীর কোলা, রানীনগরের আবাদপুকুর, আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ, পত্নীতলার মধইল, পোরশার মশিদপুর ও সাপাহারের দীঘিরহাটে গবাদিপশু বেশি বিক্রি হয়।
উল্লেখ্য, এবার জেলার কোরবানির গবাদিপশুর হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত গরু থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় যেন না হয়, সেদিকেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এম এ রাজ্জাক/এমবি