পূর্বধলায় ১ টনের ‘জমিদার’র দাম হাঁকাচ্ছে ৭ লাখ

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৯:৪৪

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ১ টনের ‘জমিদার’র দাম হাঁকাচ্ছে ৭ লাখ। ছবি : বাংলাদেশের খবর
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ঠিক এমন সময় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের জামুদ গ্রামে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ‘জমিদার’ নামের একটি বিশালাকৃতির ষাঁড়।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজী মোহাম্মদ আব্দুল হেকিমের পালিত এক টনের (১ হাজার কেজি) ষাঁড়টি শুধু ওজনেই নয়, রং, জাত ও দৃষ্টিনন্দন গঠনে দারুণ আকর্ষণীয়। পাঁচ বছর বয়সী ৬ দাঁতের শাহীওয়াল জাতের এ গরুর গায়ে কালো-বাদামি মিশ্র রঙের প্রলেপ। মাথায় রয়েছে হালকা সাদা রঙের ‘জমিদারি মুকুট’—যা নামের সার্থকতা প্রমাণ করে।
সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে বড় করা হয়েছে গরুটিকে। কোনো ইনজেকশন বা কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ করা হয়নি বলে দাবি হেকিমের। প্রতিদিন প্রায় ১৫ কেজি দেশি ঘাস, খৈল, ভুসি ও ভুট্টাজাতীয় খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। এতে দৈনিক খরচ হয় গড়ে ১ হাজার টাকার মতো।
গত বছরও কোরবানির বাজারে গরুটি তোলা হয়েছিল। তবে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় সেবার বিক্রি করেননি মালিক। এবার ‘জমিদার’-এর দাম হাঁকা হয়েছে ৭ লাখ টাকা। যদিও দরকষাকষির সুযোগ রাখা হয়েছে।
প্রতিদিন গরুটি দেখতে আসছেন শতাধিক উৎসুক মানুষ। কেউ কেউ আগ্রহ দেখিয়েছেন কেনার ব্যাপারেও। যদিও এখনো চূড়ান্ত কোনো বিক্রয় হয়নি। হেকিম বলেন, ‘দেশি ঘরানার বড় ও স্বাস্থ্যবান গরু যারা চান, তাদের জন্য ‘জমিদার’ আদর্শ হতে পারে। এটা কোনো ফার্মের গরু না। একদম দেশি পরিচর্যায় বড় করা।’
স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামের মানুষের মাঝে এমন গরু খুব একটা দেখা যায় না। গরুটি সবার নজর কেড়েছে। ক্রেতারা এক দেখাতেই পছন্দ করতে বাধ্য। এমন সুন্দর গরু জেলায় দ্বিতীয়টি নেই বললেই চলে। ‘জমিদার’ এবার কোরবানির বাজারে পূর্বধলার গর্ব হয়ে উঠবে।
‘জমিদার’ ছাড়াও হেকিমের গোয়ালে আরও আটটি দেশি জাতের ষাঁড় ও গাভি রয়েছে। যেগুলোকেও ঈদুল আজহার বাজারে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান হেকিম।
এমবি