Logo

সারাদেশ

বান্দরবানে পাহাড় কেটে যুবদল নেতার ‘মাটি বাণিজ্য’

Icon

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ১৯:৫১

বান্দরবানে পাহাড় কেটে যুবদল নেতার ‘মাটি বাণিজ্য’

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বারবার প্রশাসনের অভিযান সত্ত্বেও বান্দরবানে থামছে না পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রয়োজন-অপ্রয়োজন, নানা অজুহাতে চলছে পাহাড় ধ্বংসের প্রতিযোগিতা। এবার এই পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনে ও রাতে সমানতালে পাহাড় কেটে চলেছেন নাজিম উদ্দিন ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলার বাকীছড়া, বালাঘাটা চড়ুইপাড়া, লেমুঝিড়ি ও থোয়াইংগ্যপাড়া এলাকায় স্কেভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এসব মাটি প্রতিদিন ১০-১৫টি ডাম্পার ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ‘বান্দরবান ১৩২/৩৩ কেভি (জিআইএস) গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প’-এর জায়গা ভরাটে।

টানা গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও চলে মাটি পরিবহন। এতে আশপাশের রাস্তাগুলো কাদায় ভরে যাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছে।

থোয়াইংগ্যপাড়ার বাসিন্দা থুইক্য মার্মা বলেন, ‘স্কুলের পাশের পাহাড় কেটে মাটি নেওয়ায় রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। পা পিছলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিএনপির লোকেরা দিনে-দুপুরে পাহাড় কাটছে। প্রশাসন কিছু বলছে না। আমরা বাধা দিলে কিছুই হবে না। এভাবে চলতে থাকলে আশপাশের এলাকা সমতলে পরিণত হবে।’

এ বিষয়ে যুবদল নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘যেসব জায়গায় পাহাড় কাটা হচ্ছে সব আমার সাইট। মাটি আমরা গ্রিড উপকেন্দ্র প্রকল্পের জায়গা ভরাটে ব্যবহার করছি।’

পাহাড় কাটার বিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলার ইউএনও মারুফা সুলতানা খান হীরামনি বলেন, ‘বালাঘাটা এলাকায় পাহাড় কাটার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ আমরা অভিযান চালিয়েছি। ঘটনাস্থলে কাউকে পাইনি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, পাহাড় কাটার ফলে প্রতি বছর বর্ষায় ভূমিধ্বস হয়। বিগত এক দশকে বান্দরবানে পাহাড় ধসে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫ জনের বেশি মানুষ। এরপরও বন্ধ হচ্ছে না এই ভয়ঙ্কর অবৈধ কর্মকাণ্ড।

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর