গাজীপুরের শ্রীপুরে খামারের কেয়ারটেকারকে চেতনানাশক স্প্রে করে অচেতন করে এক খামারির ৫ গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলী প্রধানের খামারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হায়াতখারচালা গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলী প্রধান তার গ্রামে একটি গরুর খামার গড়েন। সম্প্রতি সেখানে কোরবানির জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটা গরু কিনেন। পরে গরুটি খামারে অন্য চারটি গরুর সঙ্গে রাখা হয়। গরুগুলো দেখাশোনা করেন কুরবান আলী নামের এক ব্যক্তি। পরে বুধবার রাতে কেয়ারটেকার গরুর ঘরে ৫টি গরু রেখে ঘুমিয়ে যান। পরে রাত ৩ টার দিকে বাড়ির পাশে ৫-৭ জন লোকের উপস্থিতি টের পান। একপর্যায়ে তারা ভিতরে খামারে প্রবেশ করে কেয়ারটেকার ও তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতসহ চেতনানাশক স্প্রে করে তাদের অজ্ঞান করে খামারে থাকা পাঁচটি গরু চুরি করে।

বিষয়টি নিয়ে কুরবান আলী বলেন, গভীর রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ৩ টার দিকে শব্দ পেয়ে সজাগ হই। ঘরের জানালা দিয়ে দেখি কয়েকজন লোক মাদ্রাসার কাছে একটি পিক-আপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পরে তারা খামারে ঢুকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত ও স্প্রে করে। এরপর আমরা অচেতন হয়ে যাই। সকালে বড় ছেলে হামিদুল আমাদের ডাক দিলে খোঁজ পাই। এতে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কুরবান আলীর ছেলে হামিদুল বলেন, খামারে গরু নিয়ে রাত ১ টা পর্যন্ত আমি সজাগ ছিলাম। এরপর বাবা-মাকে সজাগ থাকতে বলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর আর কিছুই বলতে পারি নাই। ফজরের সময় খোঁজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা-মা পাশে পড়ে আছে কিন্তু খামারে গরু নেই।

গরুর মালিক ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলী প্রধান বলেন, অল্প কিছু দিন আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাপাসিয়া থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে একটা গরু কিনেছি। এছাড়া আমার খামারে আরও ৪টা গরুসহ মোট ৫টি গরু রয়েছে। বুধবার রাতে গরুগুলো খামারে রেখে কেয়ারটেকার ঘুমাচ্ছিল। সেখানে দুটি শেডে গরুগুলো রাখা ছিল। গভীর রাতে কয়েকজন লোক দেয়াল টপকে খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার ও তার স্ত্রীকে আঘাত করে এবং চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে তাদের অচেতন করে। এরপর খামারের গেইট খুলে গাড়িতে করে গরুগুলো নিয়ে গেছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খামারির অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

• এএ