বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগর, বাধা মানছেন না পর্যটকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৬:৫৪

বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগর, বাধা মানছেন না পর্যটকরা। ছবি : বাংলাদেশের খবর
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বিরাজ করছে বৈরী আবহাওয়া। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে পানি। একের পর এক বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে ঝাউবাগান ও প্রতিরক্ষামূলক জিওব্যাগে। ফলে সাগরপাড়ের জেট স্কি, কিটক্যাট, বিচ বাইকসহ বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকেই সাগর ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জোয়ারের সময় বিশাল ঢেউ উপকূলবর্তী জিওব্যাগ ডিঙিয়ে ঝাউগাছের সারিতে আঘাত হানছে। অনেক পর্যটক ঝুঁকি নিয়েই সৈকতের ধারে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগরের ছবি তুলছেন। কেউ আবার নিষেধ উপেক্ষা করে সাগরে গোসলে নামছেন।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রশিদ আহমেদ বলেন, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল। নামলে হয়তো ঢেউ টেনে নিয়ে যাবে।
অন্য পর্যটক মোহাম্মদ এমদাদ বলেন, লাইফগার্ডরা নামতে দেয়নি। তবে এমন উত্তাল সাগরের দৃশ্য দূর থেকে উপভোগ করছি।
লাইফগার্ড মো. শুক্কুর বলেন, জোয়ারের সময় ঢেউ অনেক উঁচু। তাই পর্যটকদের গোসল করতে দেওয়া হচ্ছে না। কিছু পর্যটক নিষেধ না মেনে সৈকতে নামতে চাইছেন। এজন্য আমাদের কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
জেট স্কি চালক ফরমান বলেন, এত বড় ঢেউয়ের মধ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব না। সব জেট স্কি উপকূলে উঠিয়ে রাখা হয়েছে।
কিটক্যাট ব্যবসায়ী রানা বলেন, লাবণী থেকে শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত শত শত কিটক্যাট তুলে রাখতে হয়েছে। ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ।
এদিন বেলা ১১টার পর শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে পড়েন। আবার কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যান। বাতাসের দমকে উড়ছে আবর্জনা। গাছপালাও ঝুঁকিপূর্ণভাবে দুলছে।
সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভুট্টু বলেন, নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজার উপকূলে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেড়ে গিয়ে কূলে আঘাত করছে। এ অবস্থায় গোসলে নামতে নিষেধ করা হলেও অনেক পর্যটক তা মানছেন না।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ১-২ দিন থাকবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমবি