Logo

সারাদেশ

ফেনীর শতাধিক খামারি দুশ্চিন্তায়, ভারতীয় গরু বন্ধের দাবি

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ০৯:০৬

ফেনীর শতাধিক খামারি দুশ্চিন্তায়, ভারতীয় গরু বন্ধের দাবি

ঈদ উপলক্ষে খামারে প্রস্তুত দেশি গরু | ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় খামারিরা। তাদের দাবি, বিদেশি গরু প্রবেশ বন্ধ হলে স্থানীয়ভাবে লালন-পালিত পশুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া সম্ভব হবে। না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন উপজেলার ৭১৭ জন প্রান্তিক খামারি।

জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। উপজেলার ৯৩টি দুগ্ধজাত, ১২২টি মোটাতাজাকরণ ও ৫০২টি প্রান্তিক খামারে বর্তমানে ৮ হাজার ২৪৪টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় ১ হাজার ৫৩০টি, বলদ ৪ হাজার ৩৯৭টি এবং ৫২১টি গাভী রয়েছে। এছাড়া কোরবানির জন্য ১ হাজার ৭২৬টি ছাগল ও ৭০টি ভেড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ হাজার ১২৬টি। ফলে ১১৮টি অতিরিক্ত পশু সরবরাহ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই উপজেলার ২২ হাজার পরিবারের কোরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব বলেও জানিয়েছে দপ্তরটি।

কিন্তু খামারিরা বলছেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ৩ দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে ৩ হাজার ৫১০টি পশু। এর মধ্যে গরু ২ হাজার ৫২৮টি, ছাগল ৯৬৭টি এবং ভেড়া ১৫টি।

পশু বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন খামারিরা। তবে ভারতীয় গরু প্রবেশ ও গো-খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি তাদের আশঙ্কায় ফেলেছে। 

পশ্চিম চিথলিয়ার খামারি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘খামারে ৩১টি গরু প্রস্তুত করেছি। কিন্তু কুড়া, ভূষি, দানাদার সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। যে খরচ করেছি, তা উঠবে কি না জানি না। ভারতীয় গরু বাজারে এলে আমাদের গরুর দাম কমে যাবে।’

এ বিষয়ে পরশুরাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হরিকমল মজুমদার বলেন, ‘স্থানীয় গরু যথেষ্ট রয়েছে। ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ হলে খামারিরা লাভবান হবেন এবং তাদের গরুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।’

বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘চোরাচালান বন্ধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে দেশি খামারি ও সীমান্ত এলাকার মানুষ সচেতন হলে তা প্রতিরোধ আরও সহজ হবে।’

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পরশুরাম পৌরসভা, মির্জানগর, চিথলিয়া ও বঙ্মাহমুদ ইউনিয়নে ৯টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে। এসব হাটে নিরাপত্তা দিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চারটি মেডিকেল টিম কাজ করবে।

  • এমরান/এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর