
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপ ও টানা বৃষ্টিপাতে পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় জেলা সদরসহ আশপাশের একাধিক উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বলেশ্বর ও কচা নদীর টগড়া ফেরিঘাট, নদীতীরবর্তী এলাকা ও আশপাশের গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, হাটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমে আছে। এতে গ্রামের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ পানির নিচে চলে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতিবৃষ্টি, জোয়ার ও উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে প্রতিদিনই নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ফলে কচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গা ও মধুমতিসহ জেলার বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী এলাকার বহু ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
পিরোজপুর কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ব্রি ধান, বিনা ধান, হাইব্রিড ও ব্যাবিলন জাতের আবাদ বেশি হয়েছে। এসব রোপণকৃত জমি দীর্ঘ সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকলে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বীজতলার জমি সাত দিন বা তার বেশি সময় পানির নিচে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া জেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পাঠদান এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নদীতীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ না থাকায় নদীর পানি সরাসরি ঢুকে গ্রাম প্লাবিত করছে।
তারা আরও জানান, পানির তোড়ে গবাদিপশু ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় খামারি ও চাষিরা। নদীভাঙনের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
- সৈয়দ আহম্মেদ/এটিআর