লঘুচাপের প্রভাবে চরফ্যাসনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১০:৪০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাসনের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৭-৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও পুকুর। ভেসে গেছে গবাদিপশু ও কয়েক লাখ টাকার মাছ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সরেজমিনে চরফ্যাসনের বেতুয়া মেঘনা পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নদীতীরবর্তী মাদ্রাজ, হাজারীগঞ্জ, জাহানপুর ও চরমানিকা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। এ ছাড়া ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
চরমানিকা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইব্রাহিম মোল্লা জানান, ঝড়ে তার ঘরের টিনের চাল উড়ে যায়। পরিবার নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাত কাটিয়েছেন তারা।
ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মাতব্বর জানান, তাদের এলাকায় কোনো বেড়িবাঁধ নেই। ফলে পুরো চর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া সেখানে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে চরবাসীর।
চরফ্যাসনের ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৬৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিপিপির ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন দুর্গতদের সরিয়ে নিতে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পল্লী বিদ্যুৎ ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চরফ্যাসন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানি অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এটি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
- এম. ফাহিম/এটিআর