Logo

সারাদেশ

খাগড়াছড়িতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

Icon

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১০:৫২

খাগড়াছড়িতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির কোরবানির পশুর হাট। জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট খাগড়াছড়ি সদরে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে ব্যাপক ক্রেতা সমাগম। পাহাড়ি এই হাটে পাহাড়ের চেয়ে সমতলের ক্রেতাদের ভিড়ই বেশি।

পাহাড়ি গরু স্বাভাবিক উপায়ে পালিত হওয়ায় এসব পশুর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। প্রাকৃতিক খাদ্যে লালিত এসব গরুতে মোটা তাজা করণের কোনো কৃত্রিম উপাদান নেই বলেই দাবি করছেন বিক্রেতারা।

চট্টগ্রাম থেকে গরু কিনতে আসা ক্রেতা নওশাদ হুদা সুজন বলেন, খাগড়াছড়ির গরু মূলত ঘাস-লতাপাতা খেয়ে বড় হয়। কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না বলেই আমরা এই গরুকে হালাল মনে করি। সুস্থ ও প্রাকৃতিকভাবে বড় হওয়া গরু কোরবানির জন্য আমরা খুঁজছি।

মহালছড়ি থেকে আসা খামারি ওবাইদ হক জানান, এবার ঈদের জন্য ছয়টি গরু বড় করেছি। একটি বিক্রি করেছি। বাকিগুলোতে এখনো দরদাম ঠিক হয়নি। বড় গরুর তুলনায় ক্রেতারা ছোট গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি।

অন্যদিকে নিজ ঘরে লালন করা গরু বিক্রি করেছেন অংচাই মারমা। তিনি বলেন, গরুটি ঘরের পালিত। ঘাস-লতা-ভুষি খাইয়ে বড় করেছি। চট্টগ্রাম থেকে এক ভাই এসে ৫৫ হাজার টাকায় গরুটি কিনে নিয়ে গেছেন। আমি খুশি।

পশুর হাট ঘিরে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় রয়েছে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। হাটে যাতে অসুস্থ গরু না ওঠে, সেজন্য কাজ করছে বিশেষ টিম।

হাটের ইজারাদার প্রতিনিধি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে ৩ থেকে ৪ হাজার গরু হাটে ওঠে। এবার বৃষ্টির কারণে কিছুটা কম হলেও বাইরের ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। হাসিল নির্ধারিত হারে নেওয়া হচ্ছে এবং প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে হাট পরিচালিত হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খাগড়াছড়িতে এবার কোরবানিকে কেন্দ্র করে ২৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে কাজ করছে ১৮টি ভেটেরিনারি টিম। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বলেন, জেলায় গরুর সংখ্যা ১৯ হাজার ১১০টি। কোরবানির চাহিদা ১৮ হাজার। উদ্বৃত্ত গরু চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি গরু সাধারণত প্রাকৃতিক খাদ্যে বড় হয়, তাই এদের মধ্যে অসুস্থতার আশঙ্কা কম। কোনো গরুকে মোটা তাজা করণের ওষুধ দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, পশুর হাটে যেন কেউ প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাও মাঠে কাজ করছে।

  • ছোটন বিশ্বাস/এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর