বান্দরবানে কয়েকদিন ধরে গুড়ি গুড়ি, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে জেলার বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

শহরের বনরূপা, হাফেজঘোনা, মেম্বার পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বান্দরবান-রুমা সড়কের মুরুং বাজার সংলগ্ন খুমী পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি রাস্তার ওপর পড়ে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়া ও পাহাড় ধসের কারণে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। যদিও দুপুরের পর বৃষ্টিপাতের মাত্রা কিছুটা কমেছে, তবে পুরো জেলায় এখনও গুড়ি গুড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

কালাঘাটা এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘রাতভর প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে আশপাশের পাহাড় ভেঙে পড়েছে। আতঙ্কে সারারাত জেগে ছিলাম। প্রশাসনের মাইকিং শুনেছি, কিন্তু ঘরবাড়ি ছেড়ে কোথায় যাবো? বাঁচলে এখানে বাঁচবো, মরলে এখানেই মরবো।’

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেড়েছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং অব্যাহত রয়েছে এবং পাহাড় ধস প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোহেল কান্তি নাথ/এআরএস