ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধে খুশি খামারিরা
ধামরাইয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫০ হাজার পশু

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৬:৩১

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঈদুল আজহার আগমনী বার্তা বয়ে এনেছে ধামরাইয়ের খামারিদের মুখে হাসি। দীর্ঘদিন পর ভারতীয় গরুর আমদানির শঙ্কা না থাকায় এবার দেশি গরুর খামারিদের মাঝে উৎসাহ বিরাজ করছে। ধামরাইয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশুর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। যা স্থানীয় চাহিদার চেয়ে প্রায় ১৫ হাজার বেশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই অতিরিক্ত পশু সরবরাহ করা হবে। তিনি আশা করছেন এবারের কোরবানিতে ধামরাইয়ে পশু বিক্রি থেকে ৫০০-৬০০ কোটি টাকা আয় হবে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
খামারিরা প্রতিদিন গরুর যত্নে ব্যস্ত। গরুর সাথে তাদের আবেগের সম্পর্ক গভীর। খামারি মো. আবির হোসেন বলেন, ‘৩৫ হাজার টাকায় বাছুর কেনা, এখন দাম ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে। ভারতীয় গরু না থাকায় দাম আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
ওজন অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে গরু, কেজিপ্রতি দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। সুপ্রিম এগ্রো খামারের ব্যবস্থাপক মো. শামীম হোসেন জানালেন, খরচ অনেক বেড়েছে, তবু আশাবাদী আছেন।
দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে টানাপোড়েন থাকলেও দুই পক্ষেই ভারতীয় গরুর প্রতিযোগিতা না থাকায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। এবারের গরুর তালিকায় দেশি জাত ছাড়াও ফ্রিজিয়ান, নেপালি, হরিয়ানা ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু রয়েছে। অধিকাংশ খামারি রাসায়নিক বা স্টেরয়েড ছাড়া দেশি পদ্ধতিতে খামার চালাচ্ছেন।
খামারিরা আশা করছেন, এবারের ঈদে তাদের পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাওয়া যাবে। এক খামারি বললেন, ‘দাম না পেলে আগামী বছর খামারি হিসেবে টিকে থাকা কঠিন হবে। তাই ভালো ক্রেতার প্রয়োজন।’
ধামরাইয়ের খামারিরা গরু নয়, ঘাম, সময় ও ভালোবাসা লালন করছেন, যেখানে ঈদ শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, এক জীবিকার উৎস।
এআরএস