Logo

সারাদেশ

গৌরনদীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, জনদুর্ভোগ চরমে

Icon

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৭:২৮

গৌরনদীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, জনদুর্ভোগ চরমে

গৌরনদীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, জনদুর্ভোগ চরমে। ছবি : বাংলাদেশের খবর

বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা গৌরনদী। বর্তমানে পৌরসভার অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবেশ দূষণে জর্জরিত। দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এ এলাকায় রাস্তার পাশে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নীলখোলা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের ব্রিজের উত্তর ও পশ্চিম পাশে, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে এবং কসবা গরুর হাট সংলগ্ন এলাকায় পৌরসভার ট্রাক দিয়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এসব ময়লার মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালির বর্জ্য, ক্লিনিক ও হাসপাতালের ক্ষতিকর বর্জ্যসহ নানা ধরনের দূষিত উপাদান।

গৌরনদী পৌরসভা মোট নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হলেও প্রতিটি ওয়ার্ডেই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে একই অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, দুর্গন্ধের পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রব ও পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।

গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, যেভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে, এতে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা করা।

স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রানা দেওয়ান বলেন, আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট পায়। বাতাসে এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়ে।

পথচারী হুমায়ুন কবির জানান, মনে হয় যেন এ এলাকায় মানুষের বসবাস নেই। পৌরসভার লোকজন এমনভাবে ময়লা ফেলে রেখে গেছে। আমরা বাধ্য হয়ে এ পরিবেশে বসবাস করছি। অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।

পরিবেশ কর্মী সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল বলেন, যেখানে পৌরসভার দায়িত্ব হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা, সেখানে তারা নিজেই পরিবেশ দূষণের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে বাতাসে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু। যা শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের বর্জ্য থেকে মাটি ও পানিও দূষিত হতে পারে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

গৌরনদী উপজেলা ছাত্র নেতা নুরুদ্দিন বুদ্দি বলেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলা হলে ডেঙ্গু, টাইফয়েড, আমাশয়, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। পৌর এলাকায় নিয়মিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা এবং বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

এ বিষয় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি জানান, মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এস এম মিজান/এমবি  

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর