৬টি গরু দিয়ে শুরু, সুজনের খামারে এখন অর্ধকোটি টাকা পুঁজি

ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৭:৪৮

ছবি : বাংলাদেশের খবর
মাত্র ছয়টি গরু দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন মো. ইসলাম হোসেন সুজন। খাগড়াছড়ি সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এপিবিএন এলাকায় ‘আয়েশা ডেইরি ফার্ম’ নামের খামারটি গড়ে তোলেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে অর্ধশতাধিক গরু। তার খামারে কাজ করছেন ১০-১২ জন শ্রমিক।
২০১৯ সালে খামারটির যাত্রা শুরু হলেও আজ তা খাগড়াছড়ির অন্যতম সফল একটি খামারে পরিণত হয়েছে। সুজন জানান, প্রাকৃতিক ঘাস, খৈইল ও ভুসি খাইয়ে গরু পালন করছেন তিনি। মোটাতাজা করণের জন্য কোনো ধরনের হরমোন বা ওষুধ ব্যবহার করেন না।
সুজন বলেন, ‘২০১৯ সালে মাত্র ছয়টি গরু নিয়ে যাত্রা শুরু করি। এখন খামারে প্রায় ৬০টি গরু রয়েছে। কর্মচারী রয়েছেন ৯ জন। নিয়মিত প্রাকৃতিক খাদ্যে গরু পালন করছি, কোনো ধরনের কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার করি না।’
আয়েশা ডেইরি ফার্মে দুগ্ধজাত পিজিএম গাভী ছাড়াও কোরবানির উপযোগী উন্নত জাতের গরু প্রস্তুত করা হচ্ছে। একাধিক গরুর বাজারমূল্য লাখ টাকার বেশি হওয়ায় বর্তমানে অর্ধকোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে খামারটিতে।
একজন কর্মী বলেন, ‘আমাদের খামারে গরুগুলোকে প্রাকৃতিক খাবার দেওয়া হয়। কোরবানির জন্য আলাদাভাবে গরু প্রস্তুত করা হয়। নিয়মিত ৯ জন এখানে কাজ করি। যে বেতন পাই, তাতে আমাদের সংসার ভালোই চলে।’
খামারটি পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘সুজন একজন সফল উদ্যোক্তা। তার খামারে কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে গরু পালন করা হয়। এতে সমতল অঞ্চলে খাগড়াছড়ির গরুর চাহিদা বাড়ছে। আমরা নিয়মিত এসব খামার পরিদর্শন করে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি।’
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, এবছরও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির ১৮ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো যাবে। সমতল অঞ্চলেও এখানকার গরু সরবরাহ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।
এআরএস