Logo

সারাদেশ

‘হাত-পা বেঁধে’ ২০ লাখ টাকার তেলভর্তি ট্রাক ডাকাতি!

Icon

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৮:৩৫

‘হাত-পা বেঁধে’ ২০ লাখ টাকার তেলভর্তি ট্রাক ডাকাতি!

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চালক ও তার সহকারীকে ‘অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ২০ লাখ টাকার তেলসহ একটি ট্রাক ডাকাতি’র ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৩০ মে) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাসড়কের শুভুল্যা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় ট্রাকচালক আল-আমিন ও তার সহকারী টিটুকে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে টহলরত হাইওয়ে পুলিশ।

ট্রাকচালকের সহকারী টিটু জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ৬০ ড্রাম পাম অয়েল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে (ঢাকা মেট্রো ট-২৪-৪৮২৯) ট্রাকযোগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। রাত ৩টার দিকে মির্জাপুর পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি নীল রঙের পিকআপ তাদের ট্রাকের গতি রোধ করে এবং সড়কের পাশে থামতে বাধ্য করে। পিকআপে থাকা ৮-১০ জন লোক দ্রুত এসে তাদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। পরে তাদের পিকআপে তুলে নেয়।

জিম্মি করার সময় ডাকাতরা তাদের এমন একটি যন্ত্র দিয়ে বারবার আঘাত করে। যা দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে তারা কিছু সময়ের জন্য শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এরপর ডাকাতরা তাদের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল এলাকার নাসির গ্লাস ফ্যাক্টরির সামনে ফেলে রেখে তেলের ড্রামসহ ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

ট্রাকচালক জানান, জিম্মি করার সময় ডাকাতরা তাদের বৈদ্যুতিক শক প্রদান করতে পারে এমন একটি যন্ত্র দিয়ে বারবার আঘাত করে। এতে তারা শারীরিকভাবে কিছু সময়ের জন্য দুর্বল হয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর তাদের মহাসড়কের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল এলাকার নাসির গ্লাস ফ্যাক্টরির সামনে ফেলে তেলের ড্রামসহ ট্রাকটি নিয়ে চলে যায় ডাকাতরা। 

তিনি আরও জানান, ডাকাতি হওয়া ওই ট্রাকে ৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল ছিল, যা ১১ হাজার ৪০০ কেজি। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা বলে দাবি করেন মালিক সনি মিয়া।

মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ্‌ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ ট্রাক ও তেল উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। ইতিমধ্যে পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্ন স্থানে যৌথভাবে কাজ করছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর