Logo

সারাদেশ

লালমোহনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০ বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা

Icon

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১৮:৪৪

লালমোহনে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে ভোলার লালমোহনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ, রমাগঞ্জ, ধলীগৌরনগর, চরভূতা ও পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে অন্তত ২০টি বসতঘর সম্পূর্ণ ধসে গেছে এবং ৫০০টির বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশেষ করে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ায় দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চরকচুয়াখালী ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বেশ কিছু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে পঞ্চাশটিরও বেশি মাছের ঘের ও পুকুর।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচণ্ড বাতাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র রবিদাসের টিনশেড ঘর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিধ্বস্ত হয়। জুতা মেরামতির কাজ করে পরিবার চালানো গোপাল জানান, তিন মাস আগে এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ঘরটি নির্মাণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড ঝড়ে আমার ঘরটি ধসে পড়ে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে প্রতিবেশীর ঘরে রাত কাটিয়েছি। ঋণগ্রস্ত অবস্থায় আবার ঘর তৈরি করবো কীভাবে, বুঝতে পারছি না। সরকারের কাছে সহায়তা চাই।’

একই এলাকার আরও দুটি পরিবারের ঘরও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুবাশ চন্দ্র মজুমদারের ঘরের বারান্দায় গাছ পড়ে তার স্ত্রী শিখা রানী আহত হন। তারা সবাই ঘর মেরামতের জন্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ জানান, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে, ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে।’

মেজবাহউদ্দিন/এআরএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঝড় ও বৃষ্টি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর