Logo

সারাদেশ

নীলফামারীতে এবার চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পশু উদ্বৃত্ত

Icon

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১০:০৫

নীলফামারীতে এবার চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পশু উদ্বৃত্ত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে নীলফামারীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশুর সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। এ বছর জেলার গৃহস্থ ও খামারিদের খামারে মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে, যেখানে চাহিদা ২ লাখ ২৩ হাজার ১৬৬টি। ফলে উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৯৯১টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার জেলায় বাণিজ্যিক ও পারিবারিক পর্যায়ে মোট ৩৪ হাজার ৩৮৩টি খামারে পশু পালন করা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে—৫২ হাজার ১০টি ষাঁড়, ৪ হাজার ২৩১টি বলদ, ২৫ হাজার ৭৯৮টি গাভী, ৮৯টি মহিষ, ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭টি ছাগল এবং ১৪ হাজার ৯৭২টি ভেড়া।

জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কিত্তিনিয়া পাড়ার খামারি মিনহাজুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বছর লাভের আশায় নিজের খামারে ষাঁড় পালন করি। এবারও গরুগুলোকে কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, চালের কুঁড়া ও ভুট্টা দিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করেছি। তবে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে।’

একই এলাকার খামারি মন্তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের শুরুতেই বাছুর কিনে পালন করি। এবার ৫টি গরু তুলেছি। এখন ক্রেতারা বাড়িতে এসে দরদাম করছেন। ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি, ফলে দামও ভালো পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’

ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের আফিল ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আজমাইন জানান, ‘এবার খামারে দেশি জাতের ১৫০টি ষাঁড় প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি বিক্রি হয়ে গেছে, অনলাইনে আরও ৪৬টি বুকিং হয়েছে। আশা করছি, সব গরু বিক্রি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খামারের প্রতিটি গরুকে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে মোটাতাজা করেছি। গরুগুলো সুস্থ ও রোগমুক্ত।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক জানান, ‘এবার চাহিদার তুলনায় ৬৫ হাজার ৯৯১টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। যা জেলার বাইরে বিক্রি করাও সম্ভব। পশু চিকিৎসকরা হাটে ও খামারে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পশুর খাদ্যে কোনো ধরনের রাসায়নিক মিশ্রণ না দিতে আমরা মাঠ পর্যায়ে খামারিদের নির্দেশনা দিয়েছি।’

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম ফরহাদ নোমান জানান, ‘গরুকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মোটা করার ব্যাপারে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয় সে বিষয়ে নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ঈদুল আজহা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর