Logo

সারাদেশ

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ব্যক্তিগত প্রাইভেট চেম্বার!

Icon

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ১৫:২৮

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ব্যক্তিগত প্রাইভেট চেম্বার!

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি : বাংলাদেশের খবর

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি দায়িত্ব পালনকালেই প্রাইভেট রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএসও) ডা. আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে। নিয়মিত অফিস সময়েই তার কক্ষে বসে চলে এ ‘গোপন’ চেম্বার। প্রতি রোগীর কাছ থেকে তিনি নিচ্ছেন ৪০০ টাকা।

সরকারি বিধি অনুযায়ী সকল চিকিৎসককে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে অফিসে উপস্থিত থাকার কথা। তবে নিয়ম ভেঙে আবু তৈয়ব প্রায় প্রতিদিনই আসেন সকাল ১১টার পর। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের বাইরে রোগী দেখা ও সময়মতো হাসপাতালে না আসার কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

ফাতেমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, রোগী নিয়ে সকাল ৯টা থেকে বসে ছিলাম। কিন্তু টিএসও সাহেব এলেন ১১টার পর। পরে বলা হয়, আগে থেকে জানালে দেখা যেত।

গত ২৬ মে সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টার পর কয়েকজন রোগী টিএসও’র কক্ষে অপেক্ষা করছেন। জিজ্ঞেস করতেই এসব রোগী জানান, তারা টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। এর আগেও এসেছিলেন তারা।

এদিকে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থার অবস্থা শোচনীয়। ডেঙ্গু, জন্ডিস কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সাধারণ পরীক্ষাও ঠিকমতো হয় না। এক্স-রে মেশিন থাকলেও প্রায় সময় বলা হয় ফিল্ম নেই। কোনো ধরনের সিজারিয়ান অপারেশন বা জরুরি সার্জারিও করা হয় না।

মহিউদ্দিন চৌধুরী নামের এক সেবা প্রত্যাশী বলেন, সকাল ১১টা থেকে টিকিট নিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেছি। পরে গিয়ে দেখি ডাক্তার নেই, আছে শুধু একজন নার্স। পরবর্তীতে ওই নার্স মহিউদ্দিনকে বলেন, ‘আপনি চলে যান, কাল আসেন।’

গর্ভবতী নারী চুমকি আক্তার বলেন, সিজারের তারিখ ছিল। হাসপাতালে আসার পর বলা হল এখানে সিজার হয় না। বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হয়েছে। যেখানে খরচ কয়েকগুণ বেশি।

এসব বিষয়ে একাধিকবার ডা. আবু তৈয়বের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, যদি কোনো চিকিৎসক এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন ও দায়িত্বে অবহেলা করেন। তাহলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ইমরান হোসেন মুন্না/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর