ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় রসুলপুর মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, রসুলপুর মাদ্রাসা মাঠে আগে থেকেই কোরবানির পশুর হাট বসতো। কিন্তু মাদ্রাসার মাত্র ২০০-৩০০ গজ দূরে আবদুল্লাহপুর লিচু মিয়া মার্কেটের সামনে আরেকটি পশুর হাট বসানো হয়েছে। এতে করে পুরাতন হাটের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়ার সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রশাসক বলেন, ‘একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে হাট নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের শোকজ করতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে, ২১ মে উপজেলার ১১টি কোরবানির পশুর হাটের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ৩টি হাটে আবেদন না পড়ায় ২৯ মে আবার রি-টেন্ডার আহ্বান করা হয়। নামমাত্র মূল্যে দেওয়া হয় লিচু মিয়া মার্কেটের সামনে পশুর হাটের ইজারা, যার পরিমাণ ছিল মাত্র ৫১ হাজার টাকা। এটি ইজারা নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা খোরশেদ জমিদার।

এই ইজারা নিয়েই তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। রসুলপুর মাদ্রাসা হাটের আয়োজক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাটের অবস্থান ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাদের ক্ষতি হবে। এর প্রতিবাদে তারা মানববন্ধনও করেন।

এরশাদ হোসেন/এআরএস