আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটগুলোতে দেশি গরু-ছাগলের বেচাকেনা এখন তুঙ্গে।

গত কয়েক বছরে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা এবার অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। দেশি গরুর চাহিদা ও দাম বাড়ছে—হাটে বাড়ছে ক্রেতার ভিড়ও।

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট যাত্রাপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ফ্রিজিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান ও দেশি গরুতে ভরপুর হাটটি সপ্তাহে দুবার বসে। নদী ও চরাঞ্চলের পাশে অবস্থিত হওয়ায় দেশি গরুর আধিক্য চোখে পড়ে।

স্থানীয় গরু বিক্রেতা আসলাম হোসেন তালুকদার জানান, তিনি প্রায় ৪ মন ওজনের একটি দেশি গরু এনেছেন, যার দাম চাচ্ছেন ৬৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকার প্রস্তাব পেয়েছেন।

গরুর পাইকার ইমরান সর্দার জানান, তিনি ইতিমধ্যে ৮টি গরু কিনেছেন, যেগুলোর দাম পড়েছে ৬৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত।

ইউপি সদস্য রহিম উদ্দিন হায়দার বলেন, হাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।

হাট ইজারাদার প্রতিনিধি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, বৈধ কাগজ ও রশিদের মাধ্যমে হাসিল আদায় করা হচ্ছে। গরু প্রতি ৫০০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ২৫০ টাকা হাসিল ধার্য রয়েছে।

জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান, জেলার সব পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। অতিরিক্ত হাসিল আদায়, জাল নোট ও চুরির ঘটনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এআরএস