নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল পশু হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। 

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে হাটে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইজারাদারদের তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেয় তারা। পরে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এতে অন্তত ৫ শতাধিক পশু ক্রেতা তাদের টাকা ফেরত পান।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার জোনাইল হাটে গরু-ছাগলের বড় বাজার বসে। নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত খাজনা নেওয়ার কথা থাকলেও ইজারাদাররা ৪০০ ও ১০০ টাকা করে আদায় করছিলেন। একইভাবে গরুর ক্ষেত্রে যেখানে ক্রেতার কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১২০ টাকা আদায়ের নিয়ম, সেখানে নেওয়া হচ্ছিল যথাক্রমে ৮০০ ও ২০০ টাকা।

গরু বিক্রি করতে আসা আদগ্রামের আদম আলী জানান, যে গরু ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবং যে গরু ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তাদের উভয়ের খাজনা একই পরিমাণ। অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদাররা ১ হাজার টাকা আদায় করছে। একইভাবে ৪০ হাজার টাকার ছাগল ও ১০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রিতেও একই পরিমাণ খাজনা নেওয়া হচ্ছে, যা মোটেও ঠিক নয়।

কোরবানির জন্য ছাগল কিনতে আসা কলেজ শিক্ষক ওসমান গণি জানান, পশু হাটে খাজনা আদায়ের চার্ট খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। ইজারাদারদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ‘আমরা বেশি নিচ্ছি না। তাই চার্টেরও প্রয়োজন নেই।’ এদিকে খাজনার রশিদে পশুর দাম লিখে দিচ্ছে। কিন্তু খাজনা কত নেওয়া হলো তা লিখছে না।

জোনাইল ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, হাটের বিষয়ে আমি কোনো মাথা ঘামাই না। যারা ইজারা পেয়েছে, তারাই খাজনা আদায় করছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাজনার বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও খেয়াল রাখছে। অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হলে সাংবাদিকরাই প্রশাসনকে প্রমাণসহ তথ্য দিয়ে সহায়তা করে।

মেহেদী হাসান তানিম/এমবি